06 Feb 2019 | দৈনিক প্রথম আলো
--------------------
বরগুনার তালতলিতে ভূমিহীনদের জায়গা দখল করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অভিযোগ তদন্তে বিদ্যুৎ বিভাগের করা কমিটির সামনেই ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জমি হারানো মো. ছিদ্দিকুর রহমানকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক পরিচালক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব নিরোদ চন্দ্র মণ্ডল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জেলা প্রশাসকের দেওয়া ভূমিহীনদের জায়গা দখল করে তালতলিতে বেসরকারি আইসোটেক ইলেকট্রিফিকেশন কোম্পানি ৩০৭ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এ বিষয়ে গত ১৬ জানুয়ারি প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ২৪ জানুয়ারি বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব নিরোদ চন্দ্র মণ্ডলকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয় কমিটিকে।
রাখাইনদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন মো. ছিদ্দিকুর রহমান। তাঁর জমিতে মাটি ফেলে ভরাট করেছে বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রথম আলোকে গতকাল মুঠোফোনে তিনি বলেন, জমি বাবদ কোনো অর্থ কোম্পানি তাঁকে দেয়নি। তদন্ত কমিটির লোকদের সামনে আইসোটেকের মালিকদের একজন সবুর তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়েছেন।
এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও পরিবেশ অধিদপ্তরে পৃথক লিখিত অভিযোগ দেন। গত ১৫ জানুয়ারি লিখিত ওই অভিযোগে ১৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিহীন বলেন, কোনো ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকারী কোম্পানি মাটি ফেলে ভরাট করেছে। তাঁরা বাড়ি থেকে বেরও হতে পারছেন না।
স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু বাঙালি ভূমিহীনই নয়। স্থানীয় রাখাইনদের প্রায় ১৪ একর জমি দখল করেছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। রাখাইন সম্প্রদায় বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে।