28 Sep 2018 | Daily Alokito Bangladesh
---------------------
প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বরগুনা জেলায় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। ২০২২ সালের শুরু থেকেই উৎপাদনে যাবে কয়লাভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি। ৩০০ একর জমির ওপর নির্মিতব্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সরকারকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৭ টাকা (প্রতি টন কয়লার দর ১২০ ডলার হিসেবে)। তবে কয়লার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৪ টাকা। সাড়ে তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এ প্রকল্পে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪৬তম বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠক কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম এমপির সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি এবং এমএ লতিফ এমপি বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাস্তবায়নাধীন কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অগ্রগতি সন্তোষজনক এবং এটি আগামী বছর থেকে উৎপাদনে যেতে পারবে বলে বৈঠকে জানানো হয়। বৈঠকে সূত্র জানায়, দুই বছরে বেসরকারি বেশ কয়েকটি কোম্পানি সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের চুক্তি করলেও অনেক কোম্পানির কাজের গতি সন্তোষজনক নয়। এজন্য এসব কোম্পানির কাজের গতি বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। তবে বরগুনার ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের গতি সন্তোষজনক।
উৎপাদন শুরুর পর প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ন্যূনতম ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ বিভাগের বিকল্প কাউন্সিলর অফিসার স্বাক্ষরিত সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৭ সালে কয়লা আমদানি করে প্লান্ট চালানোর জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল মাতারবাড়ী ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটির অগ্রগতি ১৮ শতাংশ। আর বরগুনা জেলায় কয়লাভিত্তিক ৩৫০ মেগাওয়াট ২২ শতাংশ।
বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড নামের প্রকল্পটি চলতি বছরের ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত (পার্চেস এগ্রিমেন্ট ও ইমপ্লিমেন্টেশন) চুক্তি করে। এটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে চীনের ‘পাওয়ার চায়না রিসোর্স লিমিটেড’ ও বাংলাদেশের আইসোটেক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘আইসোটেক ইলেট্রিফিকেশন কোম্পানি লিমিটেড’।
জানা যায়, মোট প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা (৫৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। মোট ৩০০ একর জমির ওপর নির্মিতব্য এ প্লান্ট থেকে চুক্তি অনুযায়ী সরকারকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৭ টাকা (প্রতি টন কয়লার দর ১২০ ডলার হিসেবে)। তবে কয়লার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৪ টাকা।
সংসদীয় কমিটিতে জানানো হয়, প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারী অধিবাসীদের পুনর্বাসন করার জন্য সাড়ে তিন একর জমি কেনা হয়েছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে ১০৪টি পরিবার বসবাস করে। সেই ১০৪ জনের প্রত্যেককে ৫ শতক করে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচয়ে বলা হয়, ‘পাওয়ার চায়না রিসোর্স লিমিটেড’ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান। তারা অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে দক্ষতার সঙ্গে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এসব দেশে প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া বৈঠকে জানানো হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় ২০২১ সাল পর্যন্ত এখান থেকে ৩.২০৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন সম্ভব হবে। এরপর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তর অংশে ১.৫ বর্গকিলোমিটার এবং দক্ষিণে ৩ বর্গকিলোমিটার মজুত এলাকা থেকে কয়লা উত্তোলনের মাধ্যমে চাহিদা পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৪৬তম বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠক কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম এমপির সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি এবং এমএ লতিফ এমপি বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বাস্তবায়নাধীন কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অগ্রগতি সন্তোষজনক এবং এটি আগামী বছর থেকে উৎপাদনে যেতে পারবে বলে বৈঠকে জানানো হয়। বৈঠকে সূত্র জানায়, দুই বছরে বেসরকারি বেশ কয়েকটি কোম্পানি সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের চুক্তি করলেও অনেক কোম্পানির কাজের গতি সন্তোষজনক নয়। এজন্য এসব কোম্পানির কাজের গতি বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। তবে বরগুনার ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের গতি সন্তোষজনক।
উৎপাদন শুরুর পর প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ন্যূনতম ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ বিভাগের বিকল্প কাউন্সিলর অফিসার স্বাক্ষরিত সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৭ সালে কয়লা আমদানি করে প্লান্ট চালানোর জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল মাতারবাড়ী ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটির অগ্রগতি ১৮ শতাংশ। আর বরগুনা জেলায় কয়লাভিত্তিক ৩৫০ মেগাওয়াট ২২ শতাংশ।
বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড নামের প্রকল্পটি চলতি বছরের ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত (পার্চেস এগ্রিমেন্ট ও ইমপ্লিমেন্টেশন) চুক্তি করে। এটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে চীনের ‘পাওয়ার চায়না রিসোর্স লিমিটেড’ ও বাংলাদেশের আইসোটেক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘আইসোটেক ইলেট্রিফিকেশন কোম্পানি লিমিটেড’।
জানা যায়, মোট প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা (৫৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। মোট ৩০০ একর জমির ওপর নির্মিতব্য এ প্লান্ট থেকে চুক্তি অনুযায়ী সরকারকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৭ টাকা (প্রতি টন কয়লার দর ১২০ ডলার হিসেবে)। তবে কয়লার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৪ টাকা।
সংসদীয় কমিটিতে জানানো হয়, প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারী অধিবাসীদের পুনর্বাসন করার জন্য সাড়ে তিন একর জমি কেনা হয়েছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে ১০৪টি পরিবার বসবাস করে। সেই ১০৪ জনের প্রত্যেককে ৫ শতক করে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচয়ে বলা হয়, ‘পাওয়ার চায়না রিসোর্স লিমিটেড’ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান। তারা অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে দক্ষতার সঙ্গে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এসব দেশে প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া বৈঠকে জানানো হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় ২০২১ সাল পর্যন্ত এখান থেকে ৩.২০৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন সম্ভব হবে। এরপর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তর অংশে ১.৫ বর্গকিলোমিটার এবং দক্ষিণে ৩ বর্গকিলোমিটার মজুত এলাকা থেকে কয়লা উত্তোলনের মাধ্যমে চাহিদা পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিবসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।