Maheshkhali Development Plan

The Government of Bangladesh recently disclosed mid-term plan of 17 projects for developing several infrastructures surrounding Maheshkhali Upazila, Cox's Bazar including Matarbari and Sonadia Islands. The plan consists 3 power plants, 4 gas pipelines, 2 LNG terminals, 5 Economic Zones, 1 regional highway and 1 Eco-tourism park along with a IT Park.

Map of Maheshkhali Upazila. Source: Banglapedia
The detail Plan is as follows:
  1. Bangladesh-Singapore 700 MW Coal-based Power Plant: 1,197.88 Acre 
  2. Kohelia 700 MW Coal Power Plant: 360 Acre
  3. LNG and Coal-based Thermal Power Plants: 4,961.9535 Acre
  4. Matarbari (600 X 2) 1,200 MW USC Coal Power Plant: 1,414.05 Acre
  5. Installation of SPM with Double Pipeline Project: 32.4030 Acre
  6. Maheshkhali - Anowara 79 km parallel Gas Pipeline (Diameter: 42 Inch): 26.563 Acre
  7. Maheshkhali - Anowara 91 km Gas Pipeline (Diameter: 30 Inch) 
  8. Maheshkhali Zero Point - Maheshkhali CTM 7 km Gas Pipeline (Diameter: 42 Inch)
  9. Sonadia LNG Terminal-1: 500.00 Acre
  10. LNG Terminal-2: 700 Acre 
  11. Kohelia Economic Zone (Dhalghata): 1,000.00 Acre
  12. Maheshkhali Economic Zone-1 (proposed): 826.00 Acre 
  13. Maheshkhali Economic Zone-2 (proposed):670.00 Acre
  14. Maheshkhali Economic Zone (BEZA): 11,471.271 Acre
  15. Maheshkhali Economic Zone-3 (Dhalghata): 3,055.46 Acre
  16. Sonadia Eco-tourism Park under BEZA: 8,045.7755 Acre
  17. Road, Bridge and Approach Road to connect Matarbari Coal Power Plant: 62.257 Acre
  18. Digital Island Maheshkhali
These projects will take 33,963.613 Acres of land from the common people who are actually small & marginal farmers or fisherfolks. The Matarbari Island (Dhalghata and Matarbari) has only 7,176 acre of lands. Among the area 1,414.05 Acre and 1,197.88 acres have been taken by Matarbari Coal Power Plant and Bangladesh-Singapore Coal Power Plant respectively. China demands another 360 acres of land for Kohelia Coal Power Plant. Another 62.257 acres of land already have taken for approach road to Matarbari Coal Power Plant. In total 3,034.19 acres of land is going for three different coal power plants. On the other hand, 2 Economic Zones (Maheshkhali Economic Zone-3 and Kohelia Economic Zone) will take 4,055.46 acres of land. Total lands acquired by the government and different projects in Matarbari Island is 7,027.39 acres while the island's whole area is only 7,176.00 acres. That means, the 57,814 inhabitants of Matarbari Island, who are majorly farmer and fisherfolk, will be displaced forcefully.

Sonadia Island is another small island with an area of around 9 sq. km. (2,224 acres) of land. It is a bird sanctuary for migratory birds like petrels, snipe, shanks, lapwings, geese, ducks and other waterfowl. It's one of the major attractions of tourists and bird watchers also. Sonadia has been declared as ECA by the Government of Bangladesh. Contrarily the government plans for constructing a LNG terminal and an Eco-tourism park in the island. Almost one fourth portion of the island (500 acre) will be taken by the government while BEZA is planning to develop a Eco-tourism park which is much more larger than the island (8045.7755 acre). It is clear that BEZa will acquire other offshore islands along with Sonadia. It is a major concern that excessive tourism along with the LNG terminal will potentially destroy the natural resources of Sonadia including vulnerable bird species.

Notes

  • BEZA:  Bangladesh Economic Zone Authority 
  • LNG: Liquefied Natural Gas 
  • SPM: Single Point Mooring 
  • USC: Ultra-super Critical

Bangladesh Peoples Safeguard Position Paper (বাংলাদেশ জন-রক্ষাকবচ বিষয়ক অবস্থানপত্র)

ঢাকা; ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
-------------------------------------------------

১. মূখবন্ধ (Preamble)
সাম্প্রতিককালে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নানা ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজনীতি ও অর্থনীতির পারস্পরিক অভিঘাত বিশ্বের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় অর্থনীতি এবং জনসমাজের উপর বিভিন্ন মাত্রায় প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক লগ্নিপুঁজির প্রবাহ উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। সাম্প্রতিককালে পুঁজির গতিমুখেরও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুঁজির প্রবাহ অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় আরো বেশি মাত্রায় পশ্চিম থেকে পূর্বমুখী হয়েছে। সস্তা শ্রম ও প্রাকৃতিক সম্পদের প্রতুলতা, দুর্বল সরকার-ব্যবস্থা এবং শক্তিশালী আইনি কাঠামোর অনুপস্থিতিসহ নানা কারণে এশীয় উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো এখন আন্তর্জাতিক পুঁজি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অর্থায়ন প্রক্রিয়া ও কাঠামোতে সূচিত হয়েছে বড় ধরনের পরিবর্তন। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, ইফাদ, ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্রিকস-এর নেতৃত্বে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) ও এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের সরকারগুলোও ইতিমধ্যে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ত্যাগ করে নানা মাত্রায় ‘নয়া-উদারবাদি অর্থনীতি’র কৌশলসমূহ গ্রহণ করে নিয়েছে। পণ্য ও পুঁজির মুক্তপ্রবাহ তথা ‘মুক্ত-বাজারব্যবস্থা’কেই উন্নয়ন-অগ্রগমনের মূলনীতি হিশেবে গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় নীতি ও কর্মসূচিতে প্রতিনিয়তই তার প্রতিফলন ঘটছে। ফলে, পুজি ও মুনাফার স্বার্থে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা, শ্রম-পরিবেশ ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

অথচ জাতিসঙ্ঘ সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ; আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার চুক্তি; আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তি; জাতিসঙ্ঘ প্রাণবৈচিত্র্য সনদ; জাতিসঙ্ঘ আদিবাসী অধিকারের ঘোষণাপত্রসহ সর্বসম্মত সনদ ও ঘোষণাসমূহে সার্বজনীন মানবাধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রসমূহ এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নানা মাত্রায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। অন্যদিকে ইতোমধ্যেই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি)’র মেয়াদ শেষ হবার পর আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) গ্রহণ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ভবিষ্যত প্রভাব মোকাবেলায় গ্রহণ করা হয়েছে প্যারিস চুক্তি যা জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনে অর্থায়নসহ অন্যান্য সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য সারা পৃথিবীব্যাপী এখন অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন-এর ধারণা ও চর্চাকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে।

কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি যে, নয়া উদারবাদি ব্যবস্থায় আয় ও সম্পদের অসমতা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এক দেশের সাথে আরেক দেশের, এমনকি একই দেশ ও সমাজের মধ্যে এক গোষ্ঠীর সাথে আরেক গোষ্ঠীর মধ্যকার অসমতা উন্নয়ন অগ্রগমনের পথে মারত্মক চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এসব দেশের সরকারসমূহ জিডিপিকেন্দ্রিক উন্নয়ন প্রতিযোগিতার দৌড়ে বাছ-বিচারহীনভাবে দানবীয় অবকাঠামো প্রকল্প গ্রহণ করে চলেছে। দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এসব প্রকল্পে অর্থায়ন করে চলেছে। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবকা এসব দানবীয় প্রকল্পের ভারে চাপা পড়ে যাচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্ররিবেশ-প্রতিবেশ, লঙ্ঘিত হচ্ছে সম্পদের ওপরে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী অধিকার। লক্ষণীয় যে, আন্তর্জাতিক পরিসরেও বহুপাক্ষিক ঋণদানকারী সংস্থাগুলোও তাদের নিজেদের রচিত স্ব স্ব রক্ষাকবচ-এর ধারণা ও চর্চা থেকে পিছু হটে এই দায়িত্ব সরকারসমূহের কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছে। দৃশ্যত, পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য পুঁজির মালিকরা কোনো দায়িত্ব নিতে চাইছে না। এটা এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বৈ কিছু নয়। 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায়ে নাগরিকদের জীবন, সম্পদ ও সম্মানের সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে বর্তমান ও ভবিষ্যত নাগরিকদের জন্য সুস্থ পরিবেশ সংরক্ষণে রাষ্ট্র দায়বদ্ধ। এছাড়া জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার সনদ ও প্রাণবৈচিত্র্য সনদে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মৌলিক মানবাধিকার ও পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। ইতোমধ্যেই মাথাপিছু জাতীয় আয়ের হিসেবে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিশেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং প্রবৃদ্ধির গতিধারায় পূর্ণ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা (রূপকল্প ২০২১) ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জাতীয় নীতি ও কৌশলপত্রে এর প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

কিন্তু ঢালাওভাবে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচির নামে গৃহীত কার্যক্রমের মাধ্যমে মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবার নজির রয়েছে এবং পরিবেশ-প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে ফেলেছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গ্যাসক্ষেত্র দুর্ঘটনায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। অথচ পরিবেশ ধ্বংসকারী বহুজাতিক কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেও কোন ক্ষতিপূরণ আদায় করা সম্ভব হয়নি। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিবছর দশ লক্ষাধিক মানুষ জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত হচ্ছে। বাংলাদেশের একমাত্র বাদাবন ও ইউনেস্কোর বিশ্বঐতিহ্য স্থান সুন্দরবনের পরিবেশ বিপর্যয় অবধারিত জেনেও সেখানে কয়লা-বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ করতে সরকার রাজি নয়। এই ভয়াবহ পরিবশেবিধ্বংসী প্রকল্পের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ-সংগ্রামও নির্মমভাবে দমন করা হচ্ছে। উন্নয়নের নামে বিদেশী পুঁজির অবাধ বিচরণ ও লুন্ঠনের পথ প্রশস্ত করাই এখন রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাড়তি হুমকি হিশেবে দেখা দিয়েছে। অপরিণামদর্শী ও জনবিচ্ছিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচিগুলোর নেতিবাচক প্রভাব জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য পথে এগুলো প্রধানতম বাধা হিশেবে হাজির হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ), অভিযোজন তহবিল (এএফ) ও দ্বিপাক্ষিক অর্থায়নের পাশাপাশি বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও নানাবিধ তহবিল গঠন করেছে। এসব তহবিলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জাতীয় অগ্রাধিকারের গুরুত্ব দেয়া তো হচ্ছেই না বরং জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবহার করে ঋণবাণিজ্য সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। 

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা গণতন্ত্রের অন্যতম দুটি স্তম্ভ। উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণে জনঅংশগ্রহণ না থাকার কারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পথ ক্রমশ সঙ্কীর্ণ হয়ে আসছে। দেশে বিদ্যমান ‘কাগুজে গণতন্ত্র’-এর ধারা ও চর্চা উন্নয়ন বিতর্কের জন্য প্রয়োজনীয় জনপরিসর (public space) সংকুচিত করে দিয়েছে। নাগরিক সমাজ ও ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীর বাদ-প্রতিবাদকেও ভয়-ভীতি-দমন-পীড়নের মাধ্যমে নির্জীব করে ফেলা হচ্ছে। ফলে টেকসই ও অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি স্পষ্টতই একটি কাগুজে প্রতিশ্রুতিতে পরিণত হয়েছে। আমরা মনে করি, বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পরিবেশ-প্রতিবেশ, ভূমি, পানি, বন-জঙ্গল, জলাশয়, খনিজসম্পদ, কৃষি, খাদ্য ও মাৎস্যসম্পদ সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশে বিদ্যমান যেসব আইন ও নীতি রয়েছে সেগুলির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন দরকার। অন্যদিকে যেসব আইন ও নীতি সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা করতে পারছে না, সেগুলির পুনর্বিবেচনা দরকার; প্রয়োজনে নতুন নীতি-আইন তৈরি করে একটি স্বমন্বিত ‘রক্ষাকবচ কাঠামো’ তৈরি করা দরকার। একই সাথে আমরা দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব ‘রক্ষাকবচ কাঠোমো’র উপস্থিতি ও বাস্তবায়নও দেখতে চাই। 

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একটি সু-স্বমন্বিত রক্ষাকবচ কাঠামো ও এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়নই উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচির নেতিবাচক প্রভাব থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে পারে। বিশেষত প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী যেমন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উৎপাদক, জেলে, বনজীবী, শ্রমজীবী, আদিবাসী, প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও নারীদের জন্য বিশেষ রক্ষাকবচ প্রয়োজন। তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করার জন্য এসব নীতি ও আইন আধুনিকায়ন এবং যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মনে করি, ধ্বংসাত্মক উন্নয়নের ক্ষতি থেকে সম্পদের ওপর মানুষের ব্যক্তি ও যৌথ অধিকার, ও পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষার জন্য স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিসরে জনগণের কণ্ঠস্বরকে প্রতিবাদের ভাষায় রূপান্তর এবং আরো বেশি উচ্চকিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নাগরিক সমাজ ও ভূক্তভোগী জনগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক সংহতি, সংগঠন ও যৌথ প্রতিবাদি কন্ঠই কেবল পুঁজির আগ্রাসী থাবা থেকে মানব-প্রজাতি, পরিবেশ-প্রতিবেশ ও মানুষের সমাজকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম।

২. রক্ষাকবচের মান (Standard of Safeguards)
উন্নয়ন অর্থায়নের নেতিবাচক প্রভাব থেকে সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ, সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী বিশেষত নারী, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উৎপাদক, প্রাকৃতিক সম্পদ-নির্ভর জনগোষ্ঠী, আদিবাসী, প্রতিবন্ধী ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিম্নোক্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করি :
২.১ ব্যক্তিগত ও সামাজিক অধিকার : প্রত্যেক ব্যক্তি এবং জনগোষ্ঠী সার্বজনীনভাবে অর্জিত অধিকারসমূহ রক্ষা করতে রাষ্ট্র, আঞ্চলিক জোট ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ দায়বদ্ধ থাকতে হবে। এ লক্ষ্যে,
  • জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা : প্রত্যেক মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি জীবিকার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষত ভূমি, বন-জঙ্গল, সাধারণ জলাধার, উপকূল ও সমুদ্র সম্পদে প্রবেশাধিকার, যৌথ মালিকানা ও ব্যবস'ানায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে;
  • মানবাধিকার : মানবাধিকারের উপর প্রস্তাবিত কর্মসূচির নেতিবাচক প্রভাব নিরূপণ, মূল্যায়ন এবং সামাজিক ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে মানবাধিকারের উপর প্রভাব বিশ্লেষণ করে কর্মসূচির শ্রেণীকরণ করতে হবে। মানবাধিকারের প্রচলিত সূচক ব্যবহার ছাড়াও ‘সামাজিক প্রভাব নিরূপণে’ মানবাধিকারের বিষয়টিকে ভিত্তি হিশেবে গ্রহণ করতে হবে;
  • সাংস্কৃতিক পরম্পরা : প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট ও লোকজ জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং প্রথাগত চর্চাসমূহ রক্ষায় সহায়তা করতে হবে।ৎ

২.২ ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ : উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে কোনোক্রমেই স'ানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা, বসতি, প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য হুমকির সম্মূখীন করা যাবে না। এ লক্ষ্যে,
  • বাস্তুচ্যুতি : উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি দ্বারা কোনোক্রমেই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উৎপাদক শ্রেণী, বিশেষত কৃষক, জেলে ও আদিবাসী জনগোষ্ঠী যেন বাস'চ্যুত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যদি কোনো কারণে বাস'চ্যুতি এড়ানো না যায় তাহলে বাস'চ্যুতদের যথাযথ পুনরাবাসন ও পুনর্বাসন ব্যবস'া নিশ্চিত করতে হবে। যেহেতু জাতীয় উন্নয়নের খাতিরে বাস'চ্যুত জনগোষ্ঠী সর্বাধিক ত্যাগ স্বীকার করে সেহেতু পুনরাবাসন ও পুনর্বাসনের জন্য ক্ষতিপূরণ বলতে শুধুমাত্র আর্থিক ভর্তুকি বোঝাবে না বরং ক্ষতিগ্রস' পরিবার ও সমাজের জন্য উন্নততর ও যথাযথ জীবিকা, সাংস্কৃতিক ও লোকজ জ্ঞান চর্চা এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করা বোঝাবে;
  • ঐতিহ্য ও প্রথাগত অধিকার : কালের বিবর্তনে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে গড়ে ওঠা ঐতিহ্য, প্রথাগত ও স্থানিক অধিকার, চর্চা ও অলিখিত আইনসমূহের স্বীকৃতি দিতে এবং সম্মান প্রদর্শন করতে হবে;
  • প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য : স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্যের কোনো ক্ষতি করা যাবে না;
  • সামাজিক মিথস্ক্রিয়া : কোনো নীতি, উন্নয়ন প্রকল্প, কর্মসূচি বা অর্থায়ন যেন সমাজের মধ্যে বিভেদ, হিংসা বা দারিদ্র্য বাড়িয়ে দেয়া যাবে না।
  • ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির সময়সীমা : কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হয়ে গেলেই অথবা প্রকল্পের প্রত্যক্ষ ক্ষতির জন্যই ক্ষতিপূরণ নয় বরং প্রকল্পের সহযোগী ক্ষতি (collateral damage and spill over impact), পরোক্ষ ক্ষতি (indirect damage) এবং প্রকল্পের মেয়াদ (project life time) শেষ হবার পরও সংঘটিত ক্ষতির জন্য পর্যাপ্ত এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাবার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

২.৩ জনগণের সার্বভৌমত্ব : সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণের সার্বভৌমত্ব ও সিদ্ধান্তগ্রহণ ক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে,
  • সমাজভিত্তিক উন্নয়নসূচি ও অগ্রাধিকার : সকল প্রকার উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচিতে স'ানীয় জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও অগ্রাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মতামত ও অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করেই সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সাধারণ মানুষই থাকবে উন্নয়নের কেন্দ্রে;
  • জাতীয় ও স্থানীয় নীতির সামঞ্জস্য : আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত নিয়মনীতি ও আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জনগণের ঐতিহ্যগত ও প্রথাগত সামাজিক অধিকারকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় নীতি প্রণয়ন, সংশোধন ও বাস্তবায়ন করতে হবে;
  • প্রত্যাখ্যানের অধিকার : কোনো উন্নয়ন কর্মসূচির সামাজিক বা পরিবেশগত প্রভাব ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হলে বাস্তবায়নের যে কোনো পর্যায়ে স'ানীয় জনগোষ্ঠী যাতে কর্মসূচিটি প্রত্যাখ্যান করতে পারে তার বিধান রাখতে হবে;
  • সংগঠনের অধিকার : যে কোনো ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠীর নিজস্ব মতামত প্রচার, নিজ মতামতের পক্ষে জনমত গঠন এবং সম্মিলিতভাবে আলোচনা ও দর কষাকষির জন্য সংগঠিত ও সঙ্ঘবদ্ধ হবার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

২.৪ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা : জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার আওতায় আনতে হবে। এ লক্ষ্যে :
  • সরকারি ও ব্যক্তিখাতের দায়বদ্ধতা : প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার সকল স্তরে সিদ্ধান্ত-গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের কার্যকর ও ফলপ্রসূ অংশগ্রহণ এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে;
  • তথ্য অধিকার : কর্মসূচি বিষয়ক তথ্যে সাধারণের প্রবেশাধিকার, স্বচ্ছ যোগাযোগ কৌশল এবং স্বেচ্ছায় তথ্য উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

২.৫ প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষা : পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং সাধারণ সম্পদ রক্ষার নীতি অনুসরণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে,
  • দুষণকারীর দায়বদ্ধতা : যে কোনো ধরনের দুষণ প্রতিরোধ ও দুষণকারীকে দায়বদ্ধ করায় জনগণের ন্যায্য অধিকারকে সকল উন্নয়ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের মূলনীতি হিশেবে গ্রহণ করতে হবে। দূষণ অপসারণের ব্যবস্থা, পরিবেশগত প্রভাব বিশ্লেষণ এবং সম্ভাব্য দুষণের ঝুঁকি সম্পর্কে তথ্য জানার অধিকারের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শনই শিল্প-কারখানা স্থাপনের মূল শর্ত হতে হবে;
  • প্রতিবেশের পুনর্জীবায়ন : উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবেশের কোনোরূপ ক্ষতিসাধন হলে উক্ত প্রতিবেশ পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য যাবতীয় ব্যয় বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বহন করত হবে।
  • পরিবেশ বীমা : কর্মসূচি বা প্রকল্প বাস্তবায়নের পূর্বেই বাস্তবায়নকারী প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের বাধ্যতামূলকভাবে পরিবেশ বীমা থাকতে হবে;
২.৬ নিরাপত্তা : প্রকল্প বা কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন এলাকার জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিগত ও সামাজিক নিরাপত্তা কোনোক্রমেই লঙ্ঘন করা যাবে না। এ লক্ষ্যে
  • শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনের অধিকার : বেসরকারি বিনিয়োগের মুনাফা নিশ্চিত করার জন্য কোনো প্রকল্প বা কর্মসূচি বাস্তবায়নাধীন এলাকায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ ও অহিংস প্রতিরোধের বিরুদ্ধে সামরিক, আধাসামরিক বা পুলিশী ব্যবস্থা গ্রহণ বন্ধ করতে হবে;
  • ব্যক্তিগত নিরাপত্তা : সামনের সারির আন্দোলনকারী, মানবাধিকার ও পরিবেশ অধিকার রক্ষার কর্মী এবং জনস্বার্থে তথ্য উন্মুক্তকারীসহ নিজের বা জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে;
  • আদিবাসীদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার : যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচি গ্রহণের ক্ষেত্রে জাতিসঙ্ঘ আদিবাসী অধিকারের ঘোষণাপত্র (ইউএনড্রিপ) অনুসারে আদিবাসী এবং ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীসমূহের স্বনিয়ন্ত্রণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন করতে হবে।

২.৭ জনগণের ক্ষমতায়ন : যেহেতু জনসাধারণের জীবনমানের উন্নয়নই মূল লক্ষ্য সেহেতু যে কোনো কর্মসূচি বা প্রকল্পে সাধারণ জনগণের ক্ষমতায়ন ও তাদের অংশগ্রহণকে সর্বাগ্রে স্থান দিতে হবে। এ লক্ষ্যে, 
  • অংশগ্রহণের অধিকার : যে কোনো কর্মসূচি বা প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনগণের কল্যাণকে কেন্দ্রে রেখে, তাদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্ত-গ্রহণ প্রক্রিয়ায় এমনভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে যাতে তারা সন্তুষ্ট হয়;
  • স্বাধীন সম্মতিদানের অধিকার : সকল তথ্য জেনে চাপমুক্ত অবস্থায় প্রকল্প শুরুর আগেই যাতে আদিবাসীসহ সকল জনগোষ্ঠী প্রকল্প বা কর্মসূচি সম্পর্কে তাদের সম্মতি দিতে পারে সেজন্য প্রকল্প গ্রহণের আগেই বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর গণশুনানির আয়োজন করতে হবে। এসব শুনানিতে প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করার অধিকার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর থাকবে;
  • সামাজিক প্রভাব হ্রাসকরণ : পরিবেশের পাশাপাশি প্রত্যেক প্রকল্পের সামাজিক নেতিবাচক প্রভাব মূল্যায়ন করে তা সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার পরিস্কার পরিকল্পনা রাখতে হবে;

২.৮ অন্তর্ভূক্তিকরণ ও বৈষম্যহীনতা :
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, জেন্ডার ও প্রতিবন্ধিতা ইত্যাদি পরিচিতি নির্বিশেষে সমাজের সকলে যেন উন্নয়ন কর্মসূচি বা প্রকল্পের মাধ্যমে সাম্যের ভিত্তিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করতে পারে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ লক্ষ্যে,
  • বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্তি : সকল প্রকল্প, কর্মসূচি, অর্থায়ন ও নীতিতে বিপদাপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্তি ও বৈষম্যহীনতার বিষয়টি বিশেষভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে;
  • নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসন : তথ্য উন্মুক্তকরণ, পরামর্শ ও অংশগ্রহণ, পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নসহ সকল পর্যায়ে অংশগ্রহণে নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

২.৯ অর্থায়নের কার্যকারিতা ও দুর্নীতি : প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের সকল পর্যায় থেকে দুর্নীতি দূর করার মধ্য দিয়ে অর্থায়নের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ লক্ষ্যে,
  • অর্থায়নকারীদের জবাবদিহিতা : উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচিতে অর্থায়নকারী পক্ষসমূহকে জাতীয় পরিবেশ বিষয়ক আইন ও অন্যান্য রক্ষাকবচ মেনে চলায় বাধ্য করতে হবে।
  • দায়মুক্তি : আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মসূচি ও প্রকল্পের কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস' হলে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ জানানোর অধিকার দিতে হবে। এ উদ্দেশ্যে বিদ্যমান ‘দায়মুক্তি আইন’ বাতিল করতে হবে এবং ভবিষ্যতে কোনো অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানকে দায়মুক্তি দেয়া যাবে না;
  • দুর্নীতিমুক্ত থাকার অধিকার : উন্নয়ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে যে কোনো ধরনের দুর্নীতি থেকে মুক্ত থাকার অধিকার সাধারণ মানুষের রয়েছে। এ অধিকারের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন করতে হবে।

২.১০ আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সনদ : বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে এমন আন্তর্জাতিক চুক্তি, নীতিমালা, সনদ ও নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। এ লক্ষ্যে,
  • আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহের কার্যকারিতা : জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার সনদ, প্রাণবৈচিত্র্য সনদ, দুর্নীতিবিরোধী সনদ, নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সদন, জলবায়ু সনদ ও আন্তর্জাতিক শ্রম আইনসহ মানবাধিকার ও পরিবেশ-সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক চুক্তি, সনদ, নীতিমালা ও নিদের্শনাসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে;
  • সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধি প্রণয়ন : আভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির পুনর্বাসনের ব্যবস্থাসহ মানবাধিকার ও পরিবেশ-সংশ্লিষ্ট যেসব আন্তর্জাতিক সনদ ও চুক্তির অঙ্গীকার পূরণে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, সেগুলো পূরণ করতে হবে;
  • শ্রমিক অধিকার : আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর শ্রমিকদের অধিকার সংশ্লিষ্ট সনদসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান করতে হবে।

২.১১ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা : বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে কার্বন-সাশ্রয়ী ও জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে,
  • জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন : ন্যায্যতা ও উন্নয়নের সাম্যের মূলনীতি অনুসারে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অভিযোজন ক্ষমতা ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধির জন্য সরাসরি পর্যাপ্ত অর্থায়ন, ক্ষতিপূরণ-ব্যবস্থা ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সক্ষমতা বাড়াতে হবে;
  • জলবায়ু-ঋণ : জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্দশা ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল ধরনের জলবায়ু-সংশ্লিষ্ট ঋণ বাতিল করতে হবে;
  • প্রতিবেশ-দেনা : জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিশেবে বাংলাদেশের অতীত দেনা বাতিল করা এবং ঔপনিবেশিক শোষণের মাধ্যমে প্রতিবেশ ধ্বংস করার মাধ্যমে সৃষ্ট দেনা পরিশোধের দাবি জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নত বিশ্বের নিকট তুলে ধরতে হবে।
  • ক্ষতিকর প্রকল্প : জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, নোংরা জ্বালানি ব্যবহার করে কিংবা অতিরিক্ত কার্বন নির্গমন করে এমন সকল প্রকার উন্নয়ন প্রকল্প বাতিল করতে হবে।

৩. কৌশল (Strategy)
বাংলাদেশের স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে জন-রক্ষাকবচ নিশ্চিত করার জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে নিম্নোক্ত কৌশলসমূহ গ্রহণ করা হবে :

৩.১ জোট গঠন : মানবাধিকার, আদিবাসী, নারী অধিকার, পরিবেশ, বাণিজ্য, প্রাথমিক উৎপাদক (জেলে, কৃষক, কৃষিশ্রমিক, বনজীবী), শ্রমিক (গার্মেন্ট শ্রমিক, হকার, শিল্পশ্রমিক), নাগরিক সমাজ প্রভৃতি বিষয়ে কর্মরত গোষ্ঠী ও সংগঠনসমূহের অংশগ্রহণে কর্মজোট গঠন করা। 

৩.২ গবেষণা ও অধ্যয়ন : আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতভিত্তিক বিনিয়োগের ফলে অর্থনীতি ও সমাজের উপর ক্ষতিকর প্রভাব, জন-রক্ষাকবচ বিষয়ক জাতীয় আইন ও নীতিমালা লঙ্ঘন ও জনসাধারণের দুর্ভোগ বিষয়ক ত্বরিৎ গবেষণা, আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের পরিবেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক রক্ষাকবচের তুলনামূলক বিশ্লেষণ, প্রকল্পভিত্তিক সামাজিক-পরিবেশগত প্রভাব বিশ্লেষণ ইত্যাদি। 

৩.৩ অধিপরামর্শ : স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি (ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ), সংসদ সদস্য, প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্য, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা, সংলাপ, অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি আয়োজন করা।

৩.৪ গণমাধ্যম : সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের অংশগ্রহণে ওরিয়েন্টেশন, প্রশিক্ষণ, সংবাদ সম্মেলন, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, ক্ষতিগ্রস' এলাকায় সাংবাদিকদের সফর, টেলিভিশন টক শোতে অংশগ্রহণ এবং উপ-সম্পাদকীয় ও নিবন্ধ লেখার মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমে প্রচার করা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ সাইট (ফেসবুক, টুইটার, আভাজ ইত্যাদি) ব্যবহার করে নতুন অনলাইন মিডিয়াসমূহে প্রচার চালানো।

৩.৫ প্রচারাভিযান : জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও মতামত গ্রহণের উদ্দেশ্যে ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা, গণ শুনানি, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সংলাপ, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি, সমাবেশ, মানব-বন্ধন, অভিনব কর্মসূচি ইত্যাদি পালন করা।

৩.৬ সক্ষমতা বৃদ্ধি : অংশগ্রহণকারী ও সহযোগী সংগঠনসমূহের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান, মানবাধিকার ও পরিবেশ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্মশালা, প্রশিক্ষণ, ওরিয়েন্টেশন, আলোচনা সভা ও সম্মেলন আয়োজন করা। 

৪. কাজের ক্ষেত্র (Scope of Engagement)
৪.১ স্থানীয় পর্যায় : ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠী, আন্দোলনকারী সংগঠনসমূহ, স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি (ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ), সংসদ সদস্য, প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ, নাগরিক সমাজ, স্থানীয় সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন, সমমনা এনজিও এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন।

৪.২ জাতীয় পর্যায় : সংসদ সদস্য, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, মন্ত্রণালয়, প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজ, জাতীয় সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সমমনা এনজিও, কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক প্রতিনিধি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

৪.৩ আঞ্চলিক পর্যায় : সমমনা আঞ্চলিক সংগঠন ও নাগরিক জোটসমূহ, আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানসমূহ (সার্ক, সাসেক, বিমসটেক) এবং আঞ্চলিক আলোচনাসমূহে জাতীয় প্রতিনিধিবৃন্দ।

৪.৪ বৈশ্বিক পর্যায় : সমমনা বৈশ্বিক জোটসমূহ, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, বহুপাক্ষিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি এবং বহুপাক্ষিক আলোচনায় অংশগ্রহণকারী জাতীয় প্রতিনিধিবৃন্দ।

৫. দাবিসমূহ (Demands)
  • এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)সহ সকল আন্তর্জাতিক অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের দায়মুক্তি বাতিল করো;
  • জাতীয় পুনরাবাসন ও পুনর্বাসন (Resettlement and Rehabilitation) নীতি গ্রহণ করো;
  • অনৈতিক, বেআইনি ও ক্ষতিকর ঋণ বাতিল করো;
  • জাতীয় জন-রক্ষাকবচ (National Safeguard Policy) নীতিমালা গ্রহণ করো;
  • কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করো;
  • উন্নত বিশ্বের নিকট থেকে প্রতিবেশ-দেনা আদায় করো;
  • আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের চাপে তৈরি উদারীকরণ নীতি বাতিল করো;
  • জলবায়ু-ঝুঁকি মোকাবেলায় ঋণগ্রহণ বন্ধ করো। 

বৈদেশিক ঋণ বিষয়ক বাংলাদেশ কর্মদল (BWGED) সদস্যবৃন্দ
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬; ঢাকা, বাংলাদেশ

Destructive Power Plants of Bangladesh

Destructive Power Plants of Bangladesh. Graphics: CLEAN

  1. Anwara Coal Power Plant: Anwara, Chittagong: 1300 MW (Japan International Cooperation Agency (JICA), Japan): Proposed
  2. Bangladesh-Singapore Coal Power Plant (Phase-I): Matarbari, Maheshkhali Upazila, Cox's Bazar: 700 MW (Sembcorp, Singapore): Proposed 
  3. Bangladesh-Singapore Coal Power Plant (Phase-II): Matarbari, Maheshkhali Upazila, Cox's Bazar: 700 MW (Singapore): Proposed 
  4. Banshkhali Coal Power Plant (Beximco): Banshkhali, Chittagong: 660 MW (Power China Resources Ltd (PCR): Proposed  
  5. Banshkhali Coal Power Plant (S. Alam Group) also called Chittagong Coal Power Plant: Banshkhali, Chittagong: 1224 MW (Shandong Electric Power Construction Corporation (SEPCO3) and STG Development Group, China): Under Construction 
  6. Barapukuria Coal Power Plant (Phase-I): Bara Pukuria, Parbatipur, Dinajpur: 250 MW: In Operation  
  7. Barapukuria Coal Power Plant (Phase-II): Bara Pukuria, Parbatipur, Dinajpur (Harbin Electric and CCC Engineering, China): 275 MW: In Operation 
  8. Barisal 307 MW Coal Based IPP Power Plant: Taltoli, Barguna: ISO Tech Electrification Limited (Bangladesh) and Power China Resources Ltd (PCR): 300-350 MW: Agreement Signed 
  9. Bhola Integrated Power Plant (Bhola IPP or Bhola II): Borhanuddin, Bhola (Nutan Biddut Bangladesh Limited (NBBL), subsidiary of Shapoorji Pallonji Group, India): Funded by Asian Infrastructure Investment Bank (USD 60 Million): Under Construction 
  10. Boalkhali Coal Power Plant (Beximco): Boalkhali, Chittagong: 660 MW: China Energy Engineering Group (CEEG), and Power China Resources Ltd (PCR): Proposed 
  11. Chittagong Coal Power Plant (Orion Group): Banshkhali, Chittagong: 283 MW: Under Construction
  12. CPGCPL-Mitsui LNG Combined Cycle Power Plant (Phase-I): Matarbari, Maheshkhali Upazila, Cox's Bazar: 500 MW (Japan): Proposed 
  13. CPGCPL-Mitsui LNG Combined Cycle Power Plant (Phase-II): Matarbari, Maheshkhali Upazila, Cox's Bazar: 500 MW (Japan): Proposed 
  14. CPGCPL-Sumitomo Coal Power Plant: Matarbari, Maheshkhali Upazila, Cox's Bazar: 1200 MW (Japan): Proposed 
  15. Daudkandi Coal Power Plant (Meghna Group): Daudkandi, Comilla: 1320 MW (Power Construction Corporation (ChinaPower), China): Proposed  
  16. Dighipara Ultra Super Critical Thermal Power Plant (NWPGCL-PCR): Dighipara, Dinajpur: North-West Power Generation Company Limited (NWPGCL) and Power China Resources Ltd (PCR): 1000 (500X2) MW: Proposed  
  17. Gazaria Coal Power Plant (RPCL-China): Imampur Union (Sholo Ani and Daulatpur Village), Gazaria, Munshiganj: 350 MW: Rural Power Company Limited (RPCL) under concessional loan from Chinese Government (Contractor: Power China Resources Ltd (PCR) and Hubei Hongyuan Power Engineering Company Limited): 330.60 Acre of Land taken from people 
  18. Khulna South Coal Power Plant (Orion Group): Mongla, Bagerhat: 650 MW (Mongla, Bagerhat): Proposed 
  19. Maheshkhali Coal Power Plant (BPDB-Huadian): Maheshkhali, Cox's Bazar: 1320 MW (China Huadian Hong Kong Company Ltd, China): Proposed 
  20. Maheshkhali Coal Power Plant (BPDB-KEPCO): Maheshkhali, Cox's Bazar: 1320 MW (KEPCO, South Korea): Proposed
  21. Maheshkhali Coal Power Plant (BPDB-PCR): Maheshkhali, Cox's Bazar: 1320 MW (Sepco Electric Power Construction Corporation and Power China Resources Ltd (PCR): Proposed  
  22. Maheshkhali Coal Power Plant (BPDB-TNB-Powertek): Maheshkhali, Cox's Bazar: 1320 MW (Tenaga Nasional Berhad (TNB), Malaysia): Proposed  
  23. Matarbari Coal Power Plant (Phase-I): Matarbari-Dhalghata, Maheshkhali Upazila, Cox's Bazar: 1200 MW (JICA, Japan): Under Construction 
  24. Matarbari Coal Power Plant (Phase-II): Matarbari-Dhalghata, Maheshkhali Upazila, Cox's Bazar: 1200 MW (Japan): Proposed  
  25. Matarbari LNG Power Plant (CPGCBL-Mitusi): Matarbari-Dhalghata, Maheshkhali Upazila, Cox's Bazar: 600-700 MW (Japan): MOU Signed 
  26. Mawa Coal Power Plant (Orion Group): Mawa, Munshiganj: 522 MW: Under Construction 
  27. Mirsarai Coal Power Plant: Mirsarai, Chittagong: 1320 MW (Hangzhou Jinjiang Group Co Ltd., China; Hangzhou Zhengcai Holding Group Co Ltd, China and Jindun Energy Equipment Ltd., Hong Kong): Proposed 
  28. Munshiganj Coal Power Plant (EGCBL): Munshiganj: Electricity Generation Company of Bangladesh Limited (EGCBL): 300-400 MW: Administration Approved, 300 Acre Land Purchase Approved, Feasibility Study done  
  29. Patuakhali Coal Power Plant (RPCL-Norinco): Dhankhali Union (Nishanbaria, Dhanbari, Londa Village), Kalapara, Patuakhali: 1320 MW: RPCL-Norinco Intl Power Limited (RNPL) (a joint venture of Rural Power Company Limited (RPCL) and Norinco International Corporation Limited, China): Under Construction 
  30. Payra Coal Power Plant: Payra, Kalapara, Patuakhali: 1320 MW: China National Energy Engineering and Construction Co. Ltd. (CECC) and China National Machinery Import and Export Corporation (CMC): Under Construction  
  31. Payra LNG Power Plant: Payra, Kalapara, Patuakhali: North-West Power Generation Company Limited (NWPGCL) and Siemens AG (Germany): 3600 (3x1200) MW: MOU Signed, Joint Development Agreement Approved  
  32. Pekua Coal Power Plant: Pekua, Cox's Bazar: 1200 (2 X 600) MW: Electricity Generation Company of Bangladesh Limited (EGCBL) and Mitsui & Company Limited (Japan): Adminstrative Approval (30 Nov 2014); Government Approval (26 Jan 2015); Land Acquisition Approval (8 Mar 2016); Land Acquisition Fund Transferred (22 Jun 2017); MOU Signed with Mitsui (17 Nov 2016): Under Construction  
  33. Rampal Coal Power Plant: Rampal, Bagerhat: 1320 MW (National Thermal Power Company Limited - NTPC, India): Under Construction 
  34. Reliance Meghnaghat Combined Cycle Gas Power Plant, Meghnaghat, Narayanganj [Reliance Power Limited (India): Financed by Asian Development Bank (ADB)]: 750 MW
  35. Rupsha 800-Megawatt Combined Cycle Power Plant: Rupsha, Khulna: 800 MW (North-West Power Generation Company Limited - NWPGCL and Asian Development Bank (ADB): Proposed 
  36. Summit Meghnaghat 335 MW Power Plant: HSD and Gas: Summit Group and USD 30 Million financed by Asian Development Bank (ADB): 335 MW

Dighipara Ultra Super Critical Thermal Power Plant (NWPGCL)



News Clippings
-------------------------------------------------------------
27 Oct 2017: Government to build 500MW power plant at Dighipara: The Dhaka Tribune
11 Sep 2016: Govt to install 660MW plant at mine mouth of Dighipara: BPDB to sign a MoU with Chinese firm to implement the project: The Daily Sun

Gazaria Coal Power Plant (RPCL-China)



News Clippings
------------------------------------------------

Green Climate Fund (GCF)

Green Climate Fund (GCF), the new multi-billion climate fund, was designated as an operating entity of the financial mechanism of the UNFCCC, in accordance with Article 11 of the UNFCCC. The COP 16 brings the issue into light and after COP 20, now GCF has become successful to a certain extent in initial resource mobilization process that led to the mobilization of $10.3 billion to date by contributing parties. The institution was proposed in 2009 Copenhagen Conference (COP 15), Denmark and formed in 2010 Cancun Conference (COP 16), Mexico. Headquartered in Song-do, South Korea, GCF started funding in late 2015.

GCF Policies
---------------------------------------------------------------
Bangladesh has been very active in the UNFCCC negotiations for long and has also taken a pragmatic approach as soon as the GCF emerged. In September 2014, the government of Bangladesh nominated Economic Relations Division (ERD) of Ministry of Finance as the National Designated Authority (NDA) of Bangladesh to GCF. As per standard procedure, NDAs are chosen by governments to act as the core interface between a country and the Fund. NDAs provide broad oversight of GCF’s activities in a country and serve as the point of communication with the Fund.

Bangladesh has received one of the very first funding through German-base Kreditanstalt für Wiederaufbau (KfW). Since then Bangladesh has received 3 projects from GCF through United Nations Development Programme (UNDP) and World Bank.

National Designated Authority (NDA) to GCF
-----------------------------------------------------------------------------
Economic Relations Division (ERD), Ministry of Finance, Government of Bangladesh


GCF Accredited Institutions in Bangladesh
-----------------------------------------------------------------------------
  1. Infrastructure Development Company Limited (IDCOL): Approved on 6 July 2017
  2. Palli Karma-Sahayak Foundation (PKSF): Approved on 2 October 2017

GCF Financed Projects in Bangladesh
-----------------------------------------------------------------------------
  1. Climate-Resilient Infrastructure Mainstreaming in Bangladesh (FP004): Kreditanstalt für Wiederaufbau (KfW), Germany
  2. Enhancing Adaptive Capacities of Coastal Communities, especially Women, to Cope with Climate Change Induced Salinity (FP069): United Nations Development Programme (UNDP)
  3. Global Clean Cooking Program –Bangladesh (FP070): World Bank (WB)

Enhancing Adaptive Capacities of Coastal Communities, especially Women, to Cope with Climate Change Induced Salinity (FP069)

Name of the Project: Enhancing Adaptive Capacities of Coastal Communities, especially Women, to Cope with Climate Change Induced Salinity (FP069)
Project Location: Khulna and Satkhira District, Bangladesh
Number of Beneficiary: 719,229 Persons (about 245,516 direct and 473,713 indirect)
Type of Project: Health, Food and Water Security
Land Acquisition: Not Applicable
ESF Risk Category: B (GCF ESF)
Project Period: 6.0 Years
Financier: Green Climate Fund (GCF)
Executing Agency: Ministry of Women and Children Affairs (MOWCA)
Receiver Entity: United Nations Development Programme (UNDP)
Sponsor: Economic Relations Division (ERD), Ministry of Finance (MOF), Government of Bangladesh

Important Dates
----------------------------------------------------------------------
Proposal Submission: 25 September 2017
First Revision: 14 November 2017
Second Revision: 11 December 2017
Third Revision: 25 January 2018
Final Submission: 16 March 2018
Project Approval: March 2018
Project Starting: 1 July 2018
Project Completion: 30 June 2024

Budget
----------------------------------------------------------------------
Output 1: Climate Resilient Livelihoods, Focusing on Women, for Enhanced Adaptive Capacities of Coastal Agricultural Communities: USD 11,482,100.00;
Output 2: Gender-responsive Access to Year - Round, Safe and Reliable Climate-resilient Drinking Water Solutions: USD 13,981,515.00;
Output 3: Strengthened Institutional Capacities Knowledge and Learning for Climate-risk Informed Management of Livelihoods and Drinking Water Security: USD 4,025,435.00


Financing
----------------------------------------------------------------------
Size of the Project: Small
Total Budget: USD 33.0 Million
GCF Investment (Grant): USD 24.98 Million
UNDP Investment (Grant): N.A.
GOB Contribution (in Cash): USD 7.00 Million
GOB Contribution (in Kind): USD 1.00 Million

Sector of Investment: Climate Change Adaptation

Short Description
----------------------------------------------------------------------
Strengthening the adaptive capacity of coastal communities, especially women, to cope with the impacts of climate-induced salinity on their livelihoods and water security.

The coastal belt of Bangladesh is vulnerable to cyclones, storm surges, and sea-level rise, which have recently been observed to be becoming more intense. Increased occurrence of these hazards is accelerating saltwater intrusion into the fresh water resources along Bangladesh's coastline.

The strengthening of adaptive capacities in this project is projected to reduce the adverse impacts to agricultural livelihoods that are freshwater dependent, and to address the availability and quality of drinking water in vulnerable coastal communities. This community-based approach in planning and managing climate-resilient water supply targets the highly vulnerable, specifically women and girls.

Contact Persons
----------------------------------------------------------------------
Adriana Dinu
United Nations Development Programme (UNDP)
Tel: +1 212 906 5143
Email: adriana.dinu@undp.org

Lucas Black
Tel: +1 212 906 5842
Email: lucas.black@undp.org

Srilata Kammila
Regional Technical Specialist - Adaptation
United Nations Development Programme (UNDP)
Phone: +66 2 304 9100 Ext. 5264; Email: srilata.kammila@undp.org
United Nations Service Building, Rajdamnern Nok Avenue
Bangkok 10200, Thailand

Kazi Shofiqul Azam
Secretary, Economic Relations Division
Phone: +88 02 9113 743, +88 02 9133 489
Email: secretary@erd.gov.bd

Related NGOs
----------------------------------------------------------------------
Abdul Momen Khan Memorial Foundation (Khan Foundation), Climate Action Network South Asia (CANSA), Coastal Association for Social Transformation Trust (Coast Trust), Development Wheel (DEW), Gana Unnayan Kendra (GUK), Independent University Bangladesh (IUB), Jago Nari, Maleya Foundation, Trinamul Unnayan Sangstha (TUS)

Climate-Resilient Infrastructure Mainstreaming in Bangladesh (FP004)

Name of the Project: Climate-Resilient Infrastructure Mainstreaming in Bangladesh
Project Location: Barguna, Bhola and Satkhira District, Bangladesh
Number of Beneficiary: 10,534,350 persons
Type of Project: Infrastructure and Built Environment
Land Acquisition: Not Applicable
ESF Risk Category: B (GCF)
Project Period: 6.0 years
Financier: Green Climate Fund (GCF)
Executing Agency: Local Government Engineering Department (LGED), Government of Bangladesh
Receiver: Kreditanstalt für Wiederaufbau (KfW)
Sponsor: Economic Relations Division (ERD), Ministry of Finance (MOF), Government of Bangladesh

Important Dates
----------------------------------------------------------------------
Proposal Submission: 3 August 2015
First Revision: 31 August 2015
Second Revision: 10 September 2015
Third Revision: 25 September 2015
Final Submission: 15 October 2015
Project Approval: November 2015 (Decision Number: B.11/11)
Project Starting: 1 April 2016 (Revised: 16 March 2018)
Project Completion: 31 March 2022 (Revised: 15 March 2024)

Budget
----------------------------------------------------------------------
Knowledge Management: USD 6.0 Million; Guidelines, Standards & Procedures: 3.0 Million; Communication, Consultation and Training: 3.0 Million; Initiate Development of a Permanent Institutional Structure: USD 1.0 Million; Priority Multipurpose Cyclone Shelter: USD 26.5 Million; Critical Rural Road Connectivity: USD 10.5 Million; Climate Resilient Urban Infrastructure in Satkhira: USD 18.0 Million; Project Management at LGED: USD 4.5 Million; Institutional Development, Design, Management & Supervision (C1 & C2): USD 5.5 Million; Design, Management & Supervision (C3): 2.0 Million: Total 80.0 Million


Financing
----------------------------------------------------------------------
Size of the Project: Medium (USD 50 - 250 Million)
Total Budget: USD 80.0 Million
GCF Investment (Grant): USD 40.0 Million
BMZ/KfW Investment (Grant): USD 15.0 Million
GOB Investment (Contribution): USD 25.0 Million

Sector of Investment: Climate Change Adaptation

Short Description
----------------------------------------------------------------------
Providing cyclone shelters and safeguarding critical road access to protect lives in a rural coastal region of Bangladesh. Developing urban infrastructure and safeguarding vulnerable city-dwellers from climate risk. Establishing a national centre of excellence for climate resilience infrastructure, to inform and guide future infrastructure development throughout the country.

Bangladesh is one of the world’s most vulnerable countries to climate risk, notably to cyclones and floods. Coastal districts are particularly at risk from extreme weather, a risk which will be exacerbated by climate change impacts such as increased seasonal variation, higher precipitation levels, and rising sea levels. Three of the country’s most vulnerable and poor coastal districts are targeted by the project: Bhola, Barguna, and Satkhira.

The project establishes a national center of excellence to gather, develop, and share climate resilience infrastructure knowledge. Rural infrastructure development will be supported by constructing 45 new cyclone shelters and renovating 20 existing shelters. The shelters built under this project will be used as primary schools in normal times, providing 45 additional schools and helping educate 18,590 children. The improvement of 80 km of critical access roads to the rural shelters will also be undertaken, to safeguard access during extreme weather and enhance the adaptive capacities of local communities.

Pilot climate-resilient urban infrastructure projects will also be undertaken in the city of Satkhira. Urban projects may include improvements to drainage, flood protection, sanitation, water supply, and transport, with priority given to the most vulnerable such as the inhabitants of city slums.

Basic Documents
----------------------------------------------------------------------
  1. GCF: Funding Proposal: Climate Resilient Infrastructure Mainstreaming in Bangladesh (FP004)
  2. GCF: Gender Assessment: Climate Resilient Infrastructure Mainstreaming in Bangladesh (FP004)

Contact Persons
----------------------------------------------------------------------
Johannes Scholl
Project Manager, Kreditanstalt für Wiederaufbau (KfW)
Address: Palmengartenstr. 5-9, 60325 Frankfurt, Germany
Phone: +49 69 7431 8935; Email: Johannes.scholl@kfw.de

Matthias Börner
Kreditanstalt für Wiederaufbau (KfW)
matthias.boerner@kfw.de

Dr. Martina Jung
martina.jung@kfw.de

Kazi Shofiqul Azam
Secretary, Economic Relations Division
Phone: +88 02 9113 743, +88 02 9133 489
Email: secretary@erd.gov.bd

Related NGOs
----------------------------------------------------------------------
Abdul Momen Khan Memorial Foundation (Khan Foundation), Climate Action Network South Asia (CANSA), Coastal Association for Social Transformation Trust (Coast Trust), Development Wheel (DEW), Gana Unnayan Kendra (GUK), Independent University Bangladesh (IUB), Jago Nari, Maleya Foundation, Trinamul Unnayan Sangstha (TUS)

Acronyms
----------------------------------------------------------------------

BMZ: Federal Ministry of Economic Cooperation and Development (Bundesministerium für wirtschaftliche Zusammenarbeit und Entwicklung)
GOB: Government of Bangladesh
KfW: Kreditanstalt für Wiederaufbau (Reconstruction Credit Institute)

Initial Observation of BWGED on Matarbari Coal Power Plant


Matarbari is a small offshore island under Cox's Bazar District of Chittagong Division of Bangladesh. The island is surrounded by Kutubdia Channel, Bay of Bengal and Kohelia River. The Matarbari island is divided into two administrative units of local government namely Dhalghata Union and Matarbari Union. The total population of the island is 57,814 and average density per sq. km. is 1,991 but the scenario of Dhalghata is quite tough with a density of 6,471 per sq. km. (BBS, 2014). Major occupation of the people are salt cultivation, agriculture, shrimp culture and fishing from the Bay of Bengal. Total land area of Matarbari Island is 29.03 sq. km. (7,176 acres). Out of the total area Dhalghata has only 494 acres of land while Matarbari has 6,682 acres.

A state owned company named Coal Power Generation Company Bangladesh Limited (CPGCBL) signed an agreement with Japan International Cooperation Agency (JICA) to finance for a 600X2 Megawatt Ultra Super Critical (USC) Coal-fired Power Plant in Matarbari Islands, Maheshkhali Upazila, Cox's Bazar, Bangladesh. Total Budget of the Coal Power Plant is USD 3.2 Billon where JICA is providing USD 2.239 Billion and USD 0.81 Billion is contributed by Bangladesh Government. Three Japanese company - Sumitomo Corporation, Toshiba Corporation and IHI Corporation have got the contract of constructing power plant while Penta-Ocean Construction Ltd., Japan achieved the contract of preparatory construction work earlier.

A Japanese consulting farm TEPSCO with cooperation of JICA Study Team conducted the Environmental Impact Assessment of Matarbari Coal Power Plant and submitted their report to Department of Environment (DOE) in June 2013, only 5 days after the approval of ‘Terms of Reference (TOR) circulated by DOE. After evaluation of EIA Report and a number of visits to the area the Bangladesh Working Group on External Debt (BWGED) is expressing its concerns as a initial observation.

Initial Observations
----------------------------------------------------------------
Violation of Paris Agreement: As one of the Annex-1 Countries under United Nations Framework Convention on Climate Change (UNFCCC) Japan is ethically and legally bounded to reduce global, we mean global, carbon emission. Only this coal power plant will emit 35,900 tonnes of Sulfur-Di-Oxide and 7,560,000 tonnes of Carbon-Di-Oxide including other destructive gases in the atmosphere every year. So, this power plant is completely contrary with the pledges of Japan in Paris Agreement and other instruments of United Nations.

Artificial Water Logging: At least 10 thousand inhabitants of the island has been suffering from artificial water logging for more around 2 months (since 5 June 2018) after two days of heavy rain because the coal power authority closed 8 sluice gates among 10 and other 2 have been closed by existing shrimp farm owners. The power plant also blocked natural water channel of Rangakhali Khal. In a discussion with Japan Centre for Sustainable Environment and Society(JACSES), the financing agency, JICA, denied to take any responsibility for this water logging saying that the water logging is a regular phenomenon of Matarbari Island. But the EIA report didn't mention any past evidence of water logging in the area. The people are living in totally inhumane situation while the responsible agencies are playing dirty game of avoidance.

Displacement: Due to land acquisition for only Matarbari Coal Power Plant (CPGCBL-JICA) around 20,000 people have been displaced from their home and occupation. Number of displaced families from own home is quite lower (# 94) because the government took mostly agricultural land and shrimp farms for the project. As a result, sharecroppers, salt farmers, crab farmers, agricultural labours and fishermen are displaced brutally from the area. Total number of occupationally displaced people are 20,534 in which salt farmer 9,929, shrimp farmer and worker 7,290, crab farmer 375 and fishermen 2,940 (Azad, 2018).

Inadequate Compensation: The Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance (1982) of the Government of Bangladesh does not mention any compensation for direct and indirect dependent individuals of land except the land owners. As a result, those that are dependent on land but are non-title holders are not legally recognized to receive compensation, which is contrary to the principles of international acquisition policies and rules.

Faulty Assessment of Compensation: Determining compensation according to the average selling price of previous 12 months has led to land owners getting less compensation from the actual market price of the land. Usually, people record lower than actual price while buying land in official documents to pay smaller registration fees and taxes. While considering this average price as compensation, the amount becomes lower than the actual market price. A comparison of compensation and market price is given bellow:
  • Dhalghata Union (Per 40 Decimal): Salt/Shrimp Farm: Compensation BDT 250 thousand: Market price BDT 500 - 600 thousand. Agriculture Land: Compensation BDT 350 thousand: Market price BDT 1.2 million. Households: Compensation BDT 3.3 million: Market Price BDT 5.0 million
  • Matarbari Union (Per 40 Decimal): Salt/Shrimp Farm: Compensation BDT 450 thousand: Market price BDT BDT 500 - 600 thousand. Agriculture Land: Compensation BDT 1.0 million: Market price 1.2 million. Households: Compensation BDT 3.3 million: Market Price BDT 5.0 million
Time Consuming Process of Compensating: The lands were taken from local people for power plants in 2013 while they were paid in 2016 only after formulation of the Resettlement Action Plan. The affected people were living in rented house for three years. But the project authorities didn't pay any compensation for this three years. Besides, the project-affected people have to face many complexities to collect necessary information/ documents in order to prepare compensation file for withdrawal of compensation. In addition, due to different types of irregularities in compensation process, they did not get their compensation in due time.

Absence of Rehabilitation: No rehabilitation plan has been implemented till now although the people was displaced four years earlier.

Faulty Public Consultation: There were terms and conditions for local and national level public consultation for the Matarbari project in the site clearance letter, but there is no mention about national public consultation in the EIA report. Public opinion-taking process at the local level was also faulty. Two stakeholder meetings mentioned in the EIA were not held in the project area. The minutes of the meeting attached in the EIA report did not incorporate views of all participants. In these stakeholder meetings, the respective authority did not display information about the project, especially about the negative impacts of the project.

Public Participation Denied: There were a very few people were invited and attended the consultation meetings. Even who were participated claimed that their comments were not written in meeting minutes which were attached with the report. In addition, powerful political party leaders and administration had threatened to file cases and take legal actions against those who opposed the power plant.

Violation of Procedures: The EIA report was submitted for approval to the DOE only 5 days after the approval of ‘Terms of Reference (TOR) circulated by DOE. Similarly, the first stakeholder meeting for Matarbari EIA was held before the approval of TOR. According to the local people, it was pre-decided that the power project would be established in the places and rest of the procedures were mere formality. Land acquisition was completed and handed over to the implementing agencies by evicting land and shrimp farm owners without giving prior notice as required under section 6 and 7 of the Land Acquisition Act 1982.

Faulty Labor and Influx Management: The EIA report assured maximum employment in the power plant for the local people. It is already proved that employment facilities in coal-fired power plant are only available for the technically equipped persons. For this reason, the power plant will not be able to provide employment for a large number of unemployed people who lost their employment due to land acquisition. Even one of the affected people has not been provided employment opportunities till the date except a few number of daily labors in construction work (Cox's Bazar News, 2018).

Conflict of Interest: The Environmental Impact Assessment (EIA) Report of Matarbari Coal Power Plant had been conducted by a Japanese company named TEPSCO with cooperation of JICA Study Team. There are high possibilities of Conflict of Interest in the process of EIA. As JICA Study Team worked directly with TEPSCO with due credit in the report, it is highly possible that the report is biased in favour of JICA.

Violation of Law by Approving the EIA: Matarbari is an island in the Bay of Bengal and highly populated area (6,667 per km2). According to the Environmental Conservation Act 1995 (amendment 2010) and EIA Guideline for Industries 1997, any industry under Red Category is totally prohibited in the populated or human settlement area. Besides there were a good number of mangrove species at seashores of Matarbari which are under Forest Department. But the Department of Environment (DOE) did not seek any opinion from the Forest Department in approving site clearance of this project.

Ignored Natural Canals: There are a number of canals and creeks in the Matarbari and Dhalghata Union. But the EIA Report doesn't mention any water channels in the islands.

Long Term Industrial Plan in Matarbari Islands: JICA (15 January 2017)
Economic Interest Superseded Environment and Human Sufferings: Two locations (Hoyanok and Matarbari) were selected in the Preliminary Study for Matarbari Coal Power Project. Socioeconomic and Environmental impact in Hoyanok was lower than Matarbari-Dhalghata area. But Matarbari was finally selected considering technical and economic conveniences. According to the local people, more importance was given to costs and benefits of the project during site selection than the environmental or socioeconomic risks. Contrarily, Bangladesh National Conservation Strategy (2016 - 2031) stated that "the strong tidal and wave force of marine waters as well as the force of seasonal trade-wind along the coast also offer huge potential for renewable energy generation (Shamsuddoha and Islam, 2016).

Pollution of Ash: According to the EIA report of Matarbari Coal Power Plant, 20% ash will be generated after burning coal. To preserve this ash, a pond across 183 acres land area is supposed to be dug. According to local people, if not appropriately controlled, flying ash will create a disaster in the surrounding area. Besides the ash pond in the cyclone and flood prone area will pollute soil and ground water by mixing up with rain water and spreading beyond the plant area.

Ecologically Critical Area: The project is situated within 14 km north from Sonadia Island which is an Ecologically critical area (ECA) which is also a vital route of migratory birds from Northern and central Asia to Southeast Asia.

No Information Disclosure: Although it is a public project there are no information available on project implementation, budget, evaluation process, Even the project profile has not been disclosed in public domain both from the JICA or Bangladesh Government's part.


Recent Movements of Local People
----------------------------------------------------------------
23 November 2017: Demonstration with shroud dress in protest of eviction from home without compensation
22 January 2018: Human Chain demanding resettlement with dignity
16 March 2018: Submission of memorandum to the Prime Minister with appeal to select actual land owners for compensation
28 March 2018: Local Union Parishad Chairman (elected representative of local government) appealed to different departments for adequate compensation and resettlement of the people under his territory
5 April 2018: Procession against corruption in distribution of compensation
12 April 2018: Human Chain demanding adequate compensation
15 April 2018: Submission of Memorandum to DC  Office demanding compensation for actual owner of the lands
12 July 2018: Protest against corruption in distribution of compensation
15 July 2018: Common people met Upazila Nirbahi Officer (UNO)  of Maheshkhali and demanded adequate compensation for their lands and livelihoods which they lost.


Demands of BWGED
----------------------------------------------------------------
  • To limit the global warming at 1.5 degree Celsius in the line of Paris Agreement, Japan must stop this coal power plant and all future plants in Bangladesh.
  • Immediate distribution of compensation for the affected peoples for their sufferings, loss of livelihoods and occupational displacement.
  • Immediately open the natural water channels and sluice gates so that the people can recover their normal life after removal of water stagnant. 

Contributor
----------------------------------------------------------------
Hasan Mehedi
Focal Point, Bangladesh Working Group on External Debt (BWGED)
7 August 2018

People Trapped in Water Logging by JICA Funded Coal Power Plant


Around 10,000 people have been trapped by artificial water logging created by JICA funded Matarbari Coal Power Plant. Due to construction of infrastructures by construction companies without considering natural water channels, the streams, canals and creeks were blocked and drainage system has been broken. After heavy downpour of July 5 and 6 this year, the water logging took serious character.

According to the reports, the excavation of two coal power plants have been blocking all 10 sluice gates and natural drainage systems in Matarbari Union, which has further exacerbated the situation. The Matarbari Coal Power Plant situated on the Rangakhali Khal, which is a natural channel of drainage system of Matarbari and Dhalghata Islands. During construction works the contractors filled up the canal by land filling works. So the only drainage channel become congested and people fell in inhumane situation.

Locals have removed a part of the embankment on 10th July 2018 for the water to begin receding. However, local authorities of the power plant project and a few shrimp farm owners blocked the embankment again, causing the water to remain stagnant.

After the water logging, the affected community people appealed to the local government (Union Parishad) but they have no resource to support the communities. Therefore, the UP appealed to Upazila level for emergency response, Bangladesh Water Development Board (BWDB) for immediate reconstruction of damaged embankments, CPGCBL for compensation to recover the damage. But supports are yet to come. Contrarily, JICA replied that they are responsible for this water logging because there were earlier evidence of water logging in the area. But there are no historical record of water logging in Matarbari-Dhalghata area. Even nothing mentioned in the EIA Report or any other assessments which can prove that the earlier water logging cases are true.

Japan based Sumitomo Corporation, Toshiba Corporation and IHI Corporation got the EPC (Engineering Procurement and Construction) contract from Coal Power Generation Company Bangladesh Ltd. (CPGCBL) on 27th July 2017 and started construction of power plant on 28 January 2018. A number of newspapers reported on 26 June that the embankment (which is also used as local road) is in risk of breaching and the area can be flooded by sea water at any time (The Daily Inani, 2018). But none of the contractor, executing agencies or financier took it seriously.

The JICA Authority also told that they started working only in 2018 which is not true because Penta-Ocean Construction Limited won the contract from CPGCBL and started working no later than 2 September 2018 (Nikkei Asian Review, 2017). Local people complained that the company started land filing since May 2017 when they even didn't get any contract from project authorities. People's complain is valid because Penta-Ocean got approval in principle in early 2016 (JICA, 2016a). Penta-Ocean's local franchise Azam Enterprise also proves that they started working in September 2017.

Affected Communities
--------------------------------------------
All the roads of Matarbari and Dhalghata Union has been submerged under saline water. So, mobility, even in emergency has been collapsed in the communities. Thousands of community people lost their jobs as the agricultural lands are submerged. These farmers will not be able to grow crops for next few years due to excessive salinity which has been sucked by the soil during the water logging. Agricultural labors and farmers are in serious situation now.

 

Damage in Brief 
-------------------------------------------- 
Villages: 5 Villages (Bandi Shikdar Para, Pashchim Shikdar Para, Purba Shikdar Para, Razghat, Sairer Deil)
Households: 2,000 Households (Approx.)
Population: 10,500 (Approx.)
Death Toll: 3 Persons
Latrines: 850 Latrines
Tube well: 65 Tube wells (out of (40 in Dhalghata and 150 in Matarbari Union) (UDMCM, 2014)
Shop: 6 Shops
Markets: 2 Markets among 3 (Fakira Haat, Mogedeil Bazar Haat and Natun Bazar Haat in Matarbari Union)
Agricultural Land: 70 Acres (with cultivated vegetables and paddy)
Shrimp Farms: 100 Acres
Schools: 2 Primary Schools
Roads: 31 Kilometers
Ponds: 17 (with cultivated fishes)

Recent Updates
-------------------------------------------- 
  • Meanwhile a number of International and National NGOs started working on humanitarian response. Actionaid Bangladesh with its local partners and Start Fund supported around 1,000 affected people with food and non-food items including cash. 
  • Local Disaster Management Committees conducted a damage assessment and submitted to the Government for emergency support. 
  • Upazila administration initiated to cut an alternative outlet to reduce water logging

Emergency Needs
-------------------------------------------- 
  • A campaign to create pressure on the funding and executing agencies for emergency humanitarian response and redesign the project to avoid blocking water channels;
    Shaming Japan internationally for financing in coal as one of the Annex-1 Countries which is ethically and legally bounded to reduce carbon emission drastically.
  • Emergency humanitarian support from different corners to recover normal life of the affected communities.

Contributor
--------------------------------------------
Hasan Mehedi
Focal Point, Bangladesh Working Group on External Debt (BWGED)
28 August 2018

International Coalition for Green Development on the Belt and Road (ICGDBR)

The United Nations Environment Programme (UNEP) or UN Environment started a process to develop International Coalition for Green Development on the Belt and Road (ICGDBR) in response of Belt and Road (B&R) or One Belt, One Road (OBOR) initiative of China after a subcommittee meeting and signed Memorandum of Understanding (MOU) between UNEP and Chinese Government. The UN Environment has already undertaken a Green Belt and Road Strategy for the period of 2018-2020.

Now the UNEP has invited 41 countries (Ministry of Environment or Equivalent), 8 International Agencies, 7 Chinese Ministries, 29 Chinese Academies & Research Institutions, 18 Civil Society Organizations (CSOs), 47 Business & Industries and 8 Financial Institutions to join the coalition. The list of invitees are as follows:

Ministries of Environment or Equivalent
-------------------------------------------------------------------------------
41 Countries: Austria, Belarus, Brunei Darussalam, Cambodia, Czech Republic, Denmark, Ethiopia, Finland, France, Germany, Indonesia, Israel, Italy, Kazakhstan, Kenya, Kyrgyzstan, Laos, Malaysia, Mongolia, Montenegro, Myanmar, The Netherlands, New Zealand, The Kingdom of Norway, Pakistan, The Philippines, Romania, Russian Federation, The Kingdom of Saudi Arabia, Singapore, Sri Lanka, South Africa, Switzerland, Tajikistan, Thailand, Turkey, Uganda, United Arab Emirates (UAE), United Kingdom (UK), Uzbekistan and Vietnam

[Strategically important neighbors of China like Bangladesh, India, Nepal, North Korea, South Korea is excluded from the invitation list]

Ministries from China
-------------------------------------------------------------------------------
7 Chinese Ministries: International Development Cooperation Agency (IDCA), Ministry of Commerce (MOC), Ministry of Foreign Affairs (MOFA), Ministry of Industry and Information Technology (MOIIT), Ministry of Natural Resources (MONR), Ministry of Transport (MOT) and National Development and Reform Commission (NDRC)

International Organizations
------------------------------------------------------------------------------- 
8 International Organizations: Global Energy Interconnection Development and Cooperation Organization (GEIDCO), Global Green Growth Institute (GGGI), International Atomic Energy Agency (IAEA), International Union for Conservation of Nature (IUCN), United Nations Development Program (UNDP), United Nations Economic Commission for Europe (UNECE), United Nations Industrial Development Organization (UNIDO), Nuclear Energy Agency of OECD (NEA-OECD): 

Academy & Research Institute
-------------------------------------------------------------------------------
29 Chinese Institutions: Beijing Normal University (BNU), The Charhar Institute (TCI), China Academy of Urban Planning and Design (CAUPD under MOHURD, China), China-ASEAN Environmental Cooperation Center (CAEC under MEE, China), China Information Safety Academy (CISA), China Institutes of Contemporary International Relations (CICIR), China International Technology Transfer Center (CITT), Chinese Academy for Environmental Planning (CAEP under MEE, China), Chinese Academy of Sciences (CAS), Chinese Academy of Social Sciences (CASS), Chinese Research Academy of Environmental Sciences (CRAES under MEE, China), Chongyang Institute for Financial Studies (CIFS), Development Research Center of the State Council of China (DRCSCC), Energy Research Institute (ERI under MEE, China), Foreign Economic Cooperation Office (FECO under MEE, China), Jilin University (JLU), Nanjing Institute of Environmental Sciences (NIES under MEE, China), Nanjing University (NJU), National Development Research Center, China (NDRC), National Geomatics Center of China (NGCC), Peking University (PKU), Renmin University (RMU), Shanghai Institutes for International Studies (SIIS), South China Institute of Environmental Sciences (SCIES under MEE, China), Tongji University (TJU), Transport Planning and Research Institute (TPRI under MOT, China), Tsinghua University (TGU), University of International Business and Economics (UIBE), World Resources Institute (WRI)

Civil Society Organizations
-------------------------------------------------------------------------------
18 Civil Society Organizations: ASEAN Centre for Biodiversity (ACB), Bloomberg Foundation (BF), China Banking Association (CBA), China Business Council for Sustainable Development (CBCSD), China Ecological Civilization Research and Promotion Association (CECRPA), China Environment Chamber of Commerce (CECC) of All-China Federation of Industry and Commerce (ACFIC), Energy Foundation (EF), Environmental Defense Fund (EDF), International Institute for Sustainable Development (IISD), Qiaonyu Foundation (QF), Rockefeller Brothers Fund (RBF), Roundtable on Sustainable Palm Oil (RSPO), SEE Conservation (SEE), Shenzhen Mangrove Wetlands Conservation Foundation (MCF), Stockholm Environment Institute (SEI), Wetlands International (WI), World Business Council for Sustainable Development (WBCSD), World Wildlife Fund (WWF)

Business & Industries
-------------------------------------------------------------------------------
47 Companies: Alibaba, Beijing SDL Technology (BST), The Belt and Road Environmental Technology Exchange and Transfer Center (BRETET - Shenzhen), Bossco, Broad Air Group (BAG), BYD, Canvest Environmental Protection Group (CEPG), China Aerospace Science and Industry Corporation (CASIC), China-ASEAN Demonstration Base for Environmental Technology and Industry Cooperation (CADBETIC - Yixing), China-ASEAN Demonstration Base for Environmental Technology and Industry Cooperation (CADBETIC - Wuzhou), China Baowu Steel Group Corporation (CBSGC), China Energy Conservation and Environmental Protection Group (CECEPG), China Everbright International Limited (CEIL), China National Nuclear Corporation (CNNC), China National Petroleum Corporation (CNPC), China Railway Construction Corporation (CRCC), China Resources, China Xinxing Group (CXG), Dahua Technology, Delta Aluminum, Dongguan Water Investment Group (DWIG), Elion Group, Esquel Group of Companies (EGC), Feili Group, Guangzhou Goaland Energy Conservation Tech (GGECT), Huawei, Hubei Carbon Exchange Center (HCE), Hunan Yonker Environmental Protection (HYEP), IER Environmental Protection and Engineering Technology Company (IEPETC), iSoftStone, JdCom, Poten Enviro, Shenlian Environmental Protection Group (SEPG), Shenzhen Energy, Shenzhen Institute of Building Research (SIBR), Sinopec, Sound Group, State Grid Corporation of China (SGCC), SunEee, Tsinghua Tongfang, Twenty-First Century Science and Technology Development Company (TCSTDC), Unis, Wal-Mart, Xu Wei New District (CECW), Yingshi Technology, Yunnan Water Investment Company (YWIC), Zhongguancun Demonstrative Park on Environmental Technology (ZDPET) 

Bank & Financial Institution
-------------------------------------------------------------------------------
8 Financial Institutions: Ant Financial Services Group (AFSG), Asian Infrastructure Investment Bank (AIIB), China Development Bank (CDB), The Export Import Bank of China (Exim Bank, China), Industrial Bank Company Limited (IBCL), Industrial and Commercial Bank of China (ICBC), People's Bank of China (PBC), Silkroad Foundation