পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জন কারাগারে

বাংলা ট্রিবিউন । ২২ জুন ২০১৯
--------------------------
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও এক শ্রমিক হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে তাদের কলাপাড়া আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেল হাজতে পাঠান। 
কলাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. শাখাওয়াত ও কলাপাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঘটনায় ১২ শ্রমিককে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলো- মো. নাসির, সুজন, আবদুল লতিফ, আতিকুর রহমান, ইমাম হাসান, মেহেদী হাসান, রাসেল আলী, শামিম মিয়া, মামুন, আইয়ুব, ফারুক ও বেল্লাল। এদের সবার বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বলে জানা গেছে। এর আগে শুক্রবার চারজনকে জেলে পাঠানো হয়। 
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে কলাপাড়া থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা পরিচালক ওয়াং লিবিং বাদী হয়ে অজ্ঞাত এক হাজার জনকে আসামি করে এ দুইটি মামলা দায়ের করেন। 
তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী জারজিজ তালুকদার জানান, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে ওই ঘটনার পর বাঙালি শ্রমিকদের মধ্যে কিছুটা ভীতি কাজ করছে। যাদের মধ্যে একটু ভয় কাজ করছে, তারা ইচ্ছা করলে বাড়ি বা কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে, তাদের মানসিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে। তবে, হামলা সংঘর্ষের পর চায়নাদের কাজে কোনও প্রভাব পড়েনি। তারা কাজের বিষয়ে পজিটিভ। এখন ফিজিক্যাল কাজ বন্ধ থাকলেও আনুষঙ্গিক কাজ চলমান রয়েছে। তাড়াতাড়ি ফিজিক্যাল কাজ শুরু হবে। 
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ এবং পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে মোট তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। যাদের ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকালে বিদ্যুৎকেন্দ্রর ব্রয়লার থেকে পড়ে নিহত বাঙালি শ্রমিক সাবিন্দ্র দাসের (৩৩) লাশ গুম করার গুজবে বিকাল থেকে মধ্যরাত অবধি বাঙালি ও চায়না শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত চায়না শ্রমিক নিহত হন। বুধবার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ ঘটনা তদন্তে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।