Online Course on Energy Environment of Bangladesh (Batch-2)


After completion of the first batch of Online Course on Energy Environment of Bangladesh in association with 350.org, Bangladesh Environmental Lawyers Association (BELA), Change Initiative, CLEAN (Coastal Livelihood and Environmental Action Network), Growthwatch, Japan Center for Sustainable Environment and Society (JACSES), NGO Forum on ADB, Recourse and Urgewald, the Bangladesh Working Group on External Debt (BWGED) is going to organize 2nd batch of the Online Course on Energy Environment of Bangladesh from August 2021.

Duration of the 2nd batch will be 8 weeks (16 sessions) where 20 national and international experts will conduct the sessions on different aspects of energy and environmental governance in Bangladesh. Graduates of the first batch will moderate the sessions of the 2nd batch. Brochure of the 2nd batch can be seen here. 

Benefits

Certificate of graduation endorsed by the co-organizing institutions; opportunity to join hands-on training and research of BWGED and joining as a member of new Youth Group for Energy and Environmental Movement in Bangladesh. 

Course Topics

  • Landscape of the Energy and Power Sector
  • Carbon Emission from the Energy Sector
  • Socio-environmental Impact of energy project
  • Energy Related policies and laws
  • Economic Impacts of the Energy Sector
  • Energy Sector: Role of ADB and AIIB in Bangladesh
  • Human Rights in the World Bank’s Energy Investments
  • Role of Japan & China in the Energy Sector
  • Problems and Potential of Indian Investments in the Energy Sector in Bangladesh
  • SDGs, Paris Agreement and Energy Sector
  • Corruption in the Energy Sector: Case Study of Niko Resources
  • Major Investors in the Energy Sector of Bangladesh
  • Potential of Renewable Energy in Bangladesh
  • Renewable Energy: Debunking the Myths
  • Techniques of Monitoring Energy Projects
  • Closing and Certificate Distribution

Eligibility

40 undergraduate and bachelor level students and environmental activists who are aged between: 20-30 years; Want to work on the Energy & Environment; able to participate in 1-hour long 16 sessions in 8 weeks; Capable of submitting written assignments and not involved in any other jobs for 100% time.

Language

The sessions of the course will be conducted in both Bengali and English. The assignments are to be submitted in any of the languages. The participants are to follow the languages of the course facilitators.

Application

Interested candidates are requested to submit their application through this Application Form on/before 5 August 2021

Coal import for Rampal power plant denounced

3 July 2021 | The NewAge 
----------------------------------- 

Economists, environmentalists and rights activists in a joint statement on Friday demanded the stoppage of the import of Indian coal for Rampal coal-fired power plant. 

They also called for the termination of the construction of the power plant near the Sunderbans. 

They urged both the Bangladeshi and the Indian governments to cancel the initiatives. 

They said that recently they came to know from the Indian media that the first consignment of coal from India would be arrived at Mongla Port of Bangladesh From Jharkhand via Kolkata, India, within next two to three days. 

‘The reason for importing coal is to experiment. Once the unit will run in full capacity, there will be transportation of 20,000 tonnes of coal per month from Kolkata port,’ they said. 

They said that the pollution from coal burning will badly affect the biodiversity and ecology of the Sunderbans. 

Economist Anu Muhammad, Bangladesh Environmental Lawyers Association chief executive Syeda Rizwana Hasan, Transparency International Bangladesh executive director Iftekharuzzaman, Nijera Kori coordinator Khushi Kabir, Association for Land Reform and Development executive director Shamsul Huda, Bangladesh. 

Working Group on External Debt convener Kazi Maruful Islam and its member secretary Hasan Mehedi are among the people who issued the statement.

The statement also said that the secrecy about the project, which has been constructing spending public wealth and money, was an evidence of the government’s undemocratic principles. 

It was also an infringement of the people’s rights to know, they added. 

ভারতীয় কয়লা আমদানির প্রতিবাদ পরিবেশবাদীদের

2 July 2021 | The Daily Samakal 
---------------------------------------- 


রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারতীয় কয়লা আমদানির প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। তবে বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই কয়লা জ্বালানির জন্য আনা হচ্ছে না। কয়লা মজুদের জন্য নির্মাণাধীন ইয়ার্ডে এগুলো ব্যবহার করা হবে। 

ভারতীয় কয়লা আমদানির প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দেশটির ঝাড়খন্ডের ধানবাদ থেকে কলকাতা বন্দরে ৩ হাজার ৮০০ টন কয়লা খালাস করা হয়েছে, যা জাহাজের মাধ্যমে মোংলা বন্দরে পাঠানো হবে। পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য এই কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। প্রকাশিত সংবাদে আরও জানানো হয়েছে যে, পুরোদমে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে প্রতি মাসে কলকাতা থেকে ২০ হাজার টন কয়লা সরবরাহ করা হবে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানির চুক্তির কোনও খবর ভারত বা বাংলাদেশের সরকার জানায়নি। এ প্রকল্পের শুরু থেকেই বিশ্বজনমত, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও পরিবেশগত কি উপেক্ষা করে ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, ভারতীয় কয়লা পৃথিবীর অন্যতম নিম্নমানের। প্রতি কেজি অস্ট্রেলীয় বা ইন্দোনেশীয় কয়লায় যেখানে ৭০ গ্রাম ছাই তৈরি হয় সেখানে ভারতীয় কয়লায় ছাই তৈরি হয় ৩০০ গ্রাম। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ভারতীয় কয়লা দরকার ৭০০ গ্রাম, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা দরকার ৪৫০ গ্রাম ও ইন্দোনেশিয়ার ৫০০ গ্রাম। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য ভারত নিজেই অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়লা আমদানি করে থাকে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় কয়লা ব্যবহার করলে একদিকে ৪০ শতাংশ বেশি কয়লা দরকার হবে, অন্যদিকে প্রায় ৫ গুণ বেশি ছাইয়ের দূষণ বাড়বে। বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত থেকে কয়লা আনার ক্ষেত্রে রায়মঙ্গল-চালনা-মোংলা রুট ব্যবহার করা হবে, যা সুন্দরবনের ভেতরের বলেশ্বর, শিবসা, শাকবাড়িয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, কালিন্দী, পানগুছি ও রায়মঙ্গল নদী ব্যবহার করা হবে। এতে সুন্দরবনের নদুী ও বনাঞ্চলে দূষণ ছড়িয়ে পড়বে। বিশিষ্টজন রামপাল কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবি জানান। 

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফসার উদ্দিন সমকালকে বলেন, বিবৃতিদাতাদের তথ্য সঠিক নয়। তাদের উচিত ছিল বিবৃতি দেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা। তিনি বলেন, রামপাল কেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে কয়লা আসবে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। ভারত থেকে আসছে কার্পেট কয়লা। কয়লা মজুদের জন্য যে ইয়ার্ড বানানো হচ্ছে তাতে কার্পেটিং করার জন্য নিম্নমানের এই কয়লা আনা হচ্ছে। ১০ লাখ টন কয়লা মজুদের জন্য চারটি ইয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে, যার প্রতিটিতে আড়াই লাখ টন কয়লা থাকবে। একটি ইয়ার্ডে কার্পেট করতে তিন-চার হাজার টন কয়লা লাগবে। 

তিনি বলেন, ১৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি চালাতে দিনে ১০ হাজার টনের ওপর কয়লা লাগবে। ভারত থেকে যে কয়লা আসছে সেটার প্রতি কেজির শক্তির মান ২৮০০ কিলো-জুল। আর জ্বালানির জন্য যে কয়লা ব্যবহার করা হবে তার শক্তির মান ৫৫০০ কিলো-জুলের ওপরে। 

Cancel Rampal Coal Power Plant and Coal Import from India

Statement | 2 July 2021 
------------------------------

We, the undersigned citizens of Bangladesh, have come to know from media reports that a consignment of coal is going to start from Kolkata Port to Mongla within the next 2-3 days. According to the major newspapers of India, a rake of 3,800 metric tonnes of coal has reached Shyama Prasad Mukherjee Port (former Kolkata Port) which will be sent to Rampal Coal Power Plant. This shipment is for a test run of Rampal Coal Power Plant. The newspapers informed that around 20 thousand tonnes of coal will be sent every month when the power plant starts in full capacity. 

Neither the governments of India and Bangladesh, nor the media published any news about signing any agreement between Bangladesh and India to supply coal for the power plant. Ignorance of public opinion and environmental risks and lack of transparency have been observed from the very beginning of the project. The coal import is the latest example of secrecy. The secrecy and non-transparency in the dealings related with civil matters, especially public resources is totally contradictory with democratic norms and ethics. It is also an example of disrespecting the citizens right to information. 

Indian coal is the lowest quality in the world. Ash content of coal produced in India is 30% on an average which is 7% in Australian and Indonesian coal. India's coal supply consumes about 0.7 kg coal to generate a kWh, whereas the US consumes about 0.45 kg coal per kWh. That is why, India itself imports coal from Australia, Indonesia and South Africa to meet its domestic needs. If Rampal Coal Power Plant uses Indian coal, it will require 40% more coal than the other countries. On the other hand, pollution of fly ash will be 5 times more than the other coals. 

The Baleshwar, Shibsa, Shakbaria, Arpangashia, Kalindi, Panguchhi and Raimangal rivers will be used under Raimangal-Chalna-Mongla route for importing coal from India. All of these rivers passed through the Sundarbans, the world’s largest single tract mangrove forest. If Indian coal comes, 30 ships from Kolkata and 80 from Akram Point will navigate in the rivers of the Sundarbans every month. 

24 ships, 11 in the Indian part and 13 in Bangladesh part, of the Sundarbans have been sunk with around 6,000 tonnes of fly ash, 5,000 tonnes of coal, 370 tonnes of petroleum, 500 tonnes of potassium, 1,036 tonnes of gypsum and 700 tonnes of wheat which has significant negative impacts on the fragile biodiversity of the Sundarbans. 

When the Rampal coal power plant starts, the cumulative pollution of the power plant and coal transportation will aggravate the destruction of the Sundarbans, which is a world heritage site and natural barrier of the cyclones and storm surges for the coastal population of Bangladesh. 

So, we strongly demand the cancellation of Rampal Coal Power Plant and the unjust, untransparent and secret initiative of importing coal from India.

Signatories
-----------------------
  1. Professor Anu Muhammad, Department of Economics, Jahangirnagar University
  2. Advocate Syeda Rizwana Hasan, Chief Executive, Bangladesh Environmental Lawyers Association (BELA)
  3. Dr. Iftekharuzzaman, Executive Director, Transparency International Bangladesh (TIB)
  4. Khushi Kabir, Coordinator, Nijera Kori
  5. Shamsul Huda, Executive Director, Association for Land Reform and Development (ALRD)
  6. Dr. Kazi Maruful Islam, Convener, Bangladesh Working Group on External Debt (BWGED)
  7. Hasan Mehedi, Member Secretary, Bangladesh Working Group on External Debt (BWGED)

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি বাতিলের দাবি

2 July 2021 | The Bangla Tribune 
----------------------------------------- 


ভারতীয় কয়লা আমদানি ও রামপাল কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বাতিলের দাবি করেছেন বিশিষ্টজনেরা। শুক্রবার (২ জুলাই) এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি করেন। 

বিবৃতিতে সই করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবীর, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট (বিডাব্লিউজিইডি) এর আহ্বায়ক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব. হাসান মেহেদী। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারতের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে কলকাতা বন্দরে ৩ হাজার ৮০০ টন কয়লা খালাস করা হয়েছে যা জাহাজের মাধ্যমে মংলা বন্দরে পাঠানো হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য এই কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। প্রকাশিত সংবাদে আরও জানানো হয়েছে যে, পুরোদমে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে প্রতি মাসে কলকাতা থেকে ২০ হাজার টন কয়লা সরবরাহ করা হবে। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানির চুক্তির কোনও খবর ভারত বা বাংলাদেশের সরকার জানায়নি বা কোনও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। এ প্রকল্পের শুরু থেকেই বিশ্ব-জনমত, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও পরিবেশগত ঝুঁকি উপেক্ষা করে ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় অসামরিক সম্পদ ও অর্থ ব্যয় সম্পর্কিত চুক্তি সম্পাদনে এ ধরনের গোপনীয়তা ও অস্বচ্ছতা গণতান্ত্রিক নীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী এবং নাগরিকদের জানার অধিকারের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের নামান্তর।

তারা বলেন, ভারতীয় কয়লা পৃথিবীর সবথেকে নিম্নমানের কয়লার অন্যতম। প্রতি কেজি অস্ট্রেলীয় বা ইন্দোনেশীয় কয়লায় যেখানে ৭০ গ্রাম ফ্লাইঅ্যাশ তৈরি হয় সেখানে ভারতীয় কয়লায় ফ্লাইঅ্যাশ তৈরি হয় ৩০০ গ্রাম। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ভারতীয় কয়লা দরকার ৭০০ গ্রাম, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা দরকার ৪৫০ গ্রাম ও ইন্দোনেশিয়ার ৫০০ গ্রাম। যে কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য ভারত নিজেই অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়লা আমদানি করে থাকে। ভারতীয় কয়লা ব্যবহার করলে একদিকে ৪০ শতাংশ বেশি কয়লা দরকার হবে অন্যদিকে প্রায় ৫ গুণ বেশি ফ্লাইঅ্যাশের দূষণ বাড়বে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারত থেকে কয়লা আনার ক্ষেত্রে রায়মঙ্গল-চালনা-মোংলা রুট ব্যবহার করা হবে যা সুন্দরবনের ভিতরের বলেশ্বর, শিবসা, শাকবাড়িয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, কালিন্দী, পানগুছি ও রায়মঙ্গল নদী ব্যবহার করা হবে। প্রতিমাসে ভারত থেকে ৩০টি ও আকরাম পয়েন্ট থেকে ৮০টি কয়লাবাহী জাহাজ এসব নদী দিয়ে চলাচল করবে। গত ১০ বছরে সুন্দরবনের শ্যালা, পশুর, কুঙ্গা ও ভৈরব নদীতে গত ১০ বছরে ১১টি এবং ভারতের অংশে ৯টি কার্গো ফ্লাইঅ্যাশের ডুবে যায় যার মাধ্যমে প্রায় ৬ হাজার টন ফ্লাইঅ্যাশ, ৫ হাজার টন কয়লা, ৩৭০ টন জ্বালানি তেল, ৫০০ টন পটাশিয়াম, ১ হাজার ৩৬ টন জিপসাম ও ৭০০ টন গম সুন্দরবনের নদী ও বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। 

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে এর দূষণের সঙ্গে কয়লা পরিবহণের দূষণ যুক্ত হয়ে সুন্দরবনের পানি, মাটি, গাছপালা ও প্রাণিসম্পদের যে ক্ষতি হবে তাতে বিশ্ব ঐতিহ্য ও বাংলাদেশের এই প্রাকৃতিক ঢাল ধ্বংসের মুখে পড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। 

সমাজের এই বিশিষ্টজনেরা অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও ভারত থেকে কয়লা আমদানির অন্যায্য, অস্বচ্ছ ও গোপন উদ্যোগ বাতিলের জন্য বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের কাছে দাবি জানান। 

ভারতীয় কয়লা আমদানি ও রামপাল কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বাতিল কর

Statement | 2 July 2021
-----------------------------

আমরা, নিম্ন-স্বাক্ষরকারীগণ, সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারত থেকে কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। ভারতীয় প্রধান প্রধান সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ইতোমধ্যে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে কলকাতা বন্দরে ৩ হাজার ৮০০ টন কয়লা খালাস করা হয়েছে যা জাহাজের মাধ্যমে মংলা বন্দরে পাঠানো হবে। পরীক্ষামূলকভাবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য এই কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। প্রকাশিত সংবাদে আরো জানানো হয়েছে যে, পুরোদমে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে প্রতি মাসে কলকাতা থেকে ২০ হাজার টন কয়লা সরবরাহ করা হবে।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানির চুক্তির কোনো খবর ভারত বা বাংলাদেশের সরকার জানায়নি বা কোনো সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। এ প্রকল্পের শুরু থেকেই বিশ্ব-জনমত, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও পরিবেশগত ঝুঁকি উপেক্ষা করে ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় অসামরিক সম্পদ ও অর্থ ব্যয় সম্পর্কিত চুক্তি সম্পাদনে এ ধরনের গোপনীয়তা ও অস্বচ্ছতা গণতান্ত্রিক নীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী এবং নাগরিকদের জানার অধিকারের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের নামান্তর।

ভারতীয় কয়লা পৃথিবীর সবথেকে নিম্নমানের কয়লার অন্যতম। প্রতি কেজি অস্ট্রেলীয় বা ইন্দোনেশীয় কয়লায় যেখানে ৭০ গ্রাম ফ্লাইঅ্যাশ তৈরি হয় সেখানে ভারতীয় কয়লায় ফ্লাইঅ্যাশ তৈরি হয় ৩০০ গ্রাম। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ভারতীয় কয়লা দরকার ৭০০ গ্রাম, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা দরকার ৪৫০ গ্রাম ও ইন্দোনেশিয়ার ৫০০ গ্রাম। যে কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য ভারত নিজেই অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়লা আমদানি করে থাকে। ভারতীয় কয়লা ব্যবহার করলে একদিকে ৪০ শতাংশ বেশি কয়লা দরকার হবে অন্যদিকে প্রায় ৫ গুণ বেশি ফ্লাইঅ্যাশের দূষণ বাড়বে।

ভারত থেকে কয়লা আনার ক্ষেত্রে রায়মঙ্গল-চালনা-মংলা রুট ব্যবহার করা হবে যা সুন্দরবনের ভিতরের বলেশ্বর, শিবসা, শাকবাড়িয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, কালিন্দী, পানগুছি ও রায়মঙ্গল নদী ব্যবহার করা হবে। প্রতি মাসে ভারত থেকে ৩০টি ও আকরাম পয়েন্ট থেকে ৮০টি কয়লাবাহী জাহাজ এসব নদী দিয়ে চলাচল করবে। গত ১০ বছরে সুন্দরবেনর শ্যালা, পশর, কুঙ্গা ও ভৈরব নদীতে গত ১০ বছরে ১১টি এবং ভারতের অংশে ৯টি কার্গো ফ্লাইঅ্যাশের ডুবে যায় যার মাধ্যমে প্রায় ৬ হাজার টন ফ্লাইঅ্যাশ, ৫ হাজার টন কয়লা, ৩৭০ টন জ্বালানি তেল, ৫০০ টন পটাশিয়াম, ১ হাজার ৩৬ টন জিপসাম ও ৭০০ টন গম সুন্দরবনের নদী ও বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে এর দূষণের সঙ্গে কয়লা পরিবহণের দূষণ যুক্ত হয়ে সুন্দরবনের পানি, মাটি, গাছপালা ও প্রাণসম্পদের যে ক্ষতি হবে তাতে বিশ্বঐতিহ্য ও বাংলাদেশের এই প্রাকৃতিক ঢাল ধ্বংসের মুখে পড়বে বলে আমরা মনে করি।

আমরা অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও ভারত থেকে কয়লা আমদানির অন্যায্য, অস্বচ্ছ ও গোপন উদ্যোগ বাতিলের জন্য বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি।

স্বাক্ষরকারী :
--------------------------------
১. অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় 
২. অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) 
৩. ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) 
৪. খুশি কবীর, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি 
৫. শামসুল হুদা, নির্বাহী পরিচালক, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) 
৬. ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, আহ্বায়ক, বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট (বিডাব্লিউজিইডি) 
৭. হাসান মেহেদী, সদস্য সচিব, বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট (বিডাব্লিউজিইডি) 

---------------
ভারতীয় কয়লার প্রথম চালানের সংবাদ : Indo-Bangla power project set to get first consignment of fuel from Kolkata port: Official