সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার আহ্বান

৪ জুন ২০২১, শুক্রবার 
-------------------------- 


শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো রক্ষা করা যাবে না। জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি এখন সস্তা ও পরিবেশবান্ধব। এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করলে পেট্রোলিয়াম ও কয়লা আমদানির ব্যয় থেকে দেশ বেঁচে যাবে। দ্রুত নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রবর্তন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ তৈরি করতে পারে। আজ ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গণচিঠি প্রেরণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন। 

সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট-এর সদস্য সচিব হাসান মেহেদী। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জোট সিভিএফ-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সিভিএফ-এর দেশসমূহ ২০১৬ সালে যত দ্রুত সম্ভব শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ এ ঘোষণাপত্রে অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ। সিভিএফ-এর সভাপতি হিশেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রবর্তনে নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশের দায়িত্ব। এছাড়া গত ১৯ জুলাই ২০২০ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়ন করার জন্য সমীক্ষা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুসারে এ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সময়ের দাবি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আগামী দিনের সবুজ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আসন্ন মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা এবং প্যরিস চুক্তির সম্প্রসারিত অঙ্গীকারপত্রে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার পরিকল্পনা যুক্ত করলে তা ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কর্মজোটের দশটি সদস্য সংগঠন দেশের ২৯টি জেলা থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চারটি দাবি সম্বলিত ৫ হাজার পোস্টকার্ড প্রেরণ করবে। দাবিগুলো হলো : সকল বাস্তবায়নাধীন ও পরিকল্পনাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করা, নতুন কোনো জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন না দেয়া, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর থেকে সব ধরনের ভর্তুকি তুলে নেয়া এবং শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার জন্য আর্থিক, নীতগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গ্রহণ করা। 

যেসব জেলা থেকে পোস্টকার্ড প্রেরণ করা হচ্ছে সেগুলো হলো কক্সবাজার, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, খুলনা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, চাপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি, টাঙ্গাইল, ঢাকা, নাটোর, নারায়ণগঞ্জ, নীলফামারী, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, ফেনী, বরগুনা, বরিশাল, বাগেরহাট, বান্দরবান, ভোলা, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, রংপুর, রাজশাহী, সাতক্ষীরা ও সিলেট। 

কর্মজোটের সঙ্গে যৌথভাবে পোস্টকার্ড প্রেরণ করছে আইএসডিই-বাংলাদেশ, ইয়্যুথনেট, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন), পরিবর্তন-রাজশাহী, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (প্রান), প্রান্তজন, বন্ধন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বিন্দু নারী উন্নয়ন সংস্থা, ও সেফটি অ্যান্ড রাইটস্ সোসাইটি। 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেলা’র খুরশেদ আলম, পরিবর্তন’র রাশেদ রিপন, আইএসডিই’র এসএম নাজের হোসেইন, ইয়ুথনেট-এর সোহানুর রহমান সোহান, বিন্দু’র জান্নাতুল মাওয়া, বন্ধন-এর আমিনুজ্জামান মিলন, নাগরিক উদ্যোগ-এর জাকির হোসেন, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ-এর জাকির হোসেন খান, গ্রিনফিল্ড লাইভলিহুড অ্যান্ড সার্ভিসেস-এর এফএম আনোয়ার হোসেন প্রমূখ। 

যোগাযোগ : মাহবুব আলম প্রিন্স, কর্মসূচি সমন্বয়কারী, বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট (বিডাব্লিউজিইডি) । ইমেইল : khlprince@gmail.com