এআইআইবি’র ঋণ : কী হবে বাংলাদেশের অবস্থান?

হাসান মেহেদী
(ইতোপূর্বে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত)
--------------------------
দীর্ঘদিন ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চাপান-উতোর চলার পর সত্যি সত্যিই চালু হয়ে গেল এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)। শুধু চালু হওয়াই নয়, ইতোমধ্যে ব্যাংকটি প্রথম একগুচ্ছ ঋণ দিয়েও ফেলেছে। ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও তাজিকিস্তানের সাথে সাথে বাংলাদেশও একটি ঋণ পেয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ পরিসঞ্চালন ব্যবস্থা হালনাগাদিকরণ ও সম্প্রসারণ প্রকল্প (বিডিএসইউপি) নামের এ ঋণটির আওতায় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে টঙ্গী পর‌্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপন, দুটি সাব-স্টেশন আধুনিকায়ন এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকাসমূহে ২৫ লাখ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। 

এআইআইবি প্রতিষ্ঠার পেছনে প্রধান ভূমিকায় রয়েছে সমাজতান্ত্রিক চীন। এক সময়ে চরম দারিদ্র্যে নিপতিত চীন বিগত তিন দশকে বিশ্ব অর্থনীতিতে মহাপরাক্রমশালী হয়ে উঠেছে। ১৯৮০’র দশক থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ চীনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আর ‘সমাজতান্ত্রিক’ থাকেনি। আভ্যন্তরীণ অর্থনীতি উদারীকরণ, রপ্তানি বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চীনকে দিয়েছে বিরাট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যা পৃথিবীর সর্বোচ্চ। অঙ্কটা ৩ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জাপানের তুলনায় এটা দ্বিগুণেরও বেশি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় পাঁচগুণ। ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রাশিয়া ষষ্ঠ, ভারত অষ্টম ও ব্রাজিল নবম স্থানে পৌঁছে গেছে। 

মধ্য আয়ের দেশ হলেও আভ্যন্তরীণ অর্থনীতির আকার ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এসব দেশকে বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম প্রভাবক হিশেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এদের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ করার আন্তর্জাতিক বাজার যেমন দরকার, তেমনি আন্তর্জাতিক আর্থরাজনৈতিক ক্ষমতায় তারা নিজস্ব অবস্থানও চায়। আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার বনেদি কেন্দ্র হলো বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। এছাড়া এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আর্থিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। পরিবর্তিত অর্থনৈতিক ক্ষমতার অনুপাতে এসব বনেদি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নব্যধনীরা নিজস্ব অবস্থান করে নিতে চেয়েছিলো। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপান। ২০০০ সালের পর কয়েকবার অনুরোধ জানালেও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবিতে চীন বা ভারতের শেয়ারের সংখ্যা বাড়াতে রাজি হয়নি নিয়ন্ত্রক দেশগুলো। 

তাই অবশেষে তৈরি করতে হলো নতুন ব্যাংক। অগ্রসর উন্নয়নশীল দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার যৌথ উদ্যোগে গঠিত হলো ব্রিকস নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা ব্রিকস এনডিবি। অংশগ্রহণকারী পাঁচটি দেশের নামের আদ্যক্ষর যুক্ত করেই তৈরি হয়েছে ব্রিকস্ শব্দটি। ব্রিকস্ ব্যাংকের মাধ্যমে পরস্পরের উন্নয়ন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হলেও চীনা পুঁজির একটি অংশ পড়ে রইলো অলস অবস্থায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় বন্ড ক্রয়, পৃথিবীজুড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি উন্নয়ন প্রকল্প এবং চীনা বেসরকারি ব্যাংকের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ করেও অলস টাকা কমানো যাচ্ছিলো না। এদিকে ২০১১ সালে এডিবি এক প্রাক্কলনে জানালো যে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এশিয়ায় ৮ ট্রিলিয়ন (লাখ কোটি) ডলার দরকার। সেই সুযোগটা নিয়েই ২০১৪ সালে বোয়াও সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হলো এশিয়ার অবকাঠামো উন্নয়নে গঠিত হবে নতুন বহুপাক্ষিক ব্যাংক। 

ওয়াশিংটন ও টোকিও বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও তাদের মিত্রদেশসহ ৫৭টি দেশের অংশগ্রহণে ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ সৃষ্টি হলো নতুন ব্যাংক, এআইআইবি। এ দেশগুলোর ৩৭টি এশীয়, ১৭টি ইউরোপীয়, ২টি আফ্রিকান এবং ১টি দক্ষিণ আমেরিকান দেশ। দেশগুলোর মধ্যে যেমন সম্পদের পার্থক্য আছে তেমনি নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রেও আছে বিরাট ফারাক। সদস্য দেশ লুক্সেমবার্গের বার্ষিক গড় মাথাপিছু আয় ১ লাখ ১৮ হাজার ডলার যা নেপালের ক্ষেত্রে মাত্র ৭০০ ডলার। আবার নরওয়ে নাগরিক অধিকার ও পরিসেবার নিরিখে সারা পৃথিবীর প্রথম অবস্থানে আর বার্মা (মায়ানমার) রয়েছে নাগরিক পরিসেবার দিক দিয়ে ১১৯তম স্থানে। ‘সমাজতান্ত্রিক’ চীনের নেতৃত্বে এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত বলে অনেকেই আশা করেছিলেন এআইআইবিতে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি অনুসরণ করা হবে। কিন্তু তা হয়নি, পুঁজিলগ্নিকারী অন্যান্য বহুজাতিক ব্যাংকের মতো এখানেও শেয়ারের বিপরীতে ভোটাধিকার প্রদান করা হয়েছে। 

নতুন ব্যাংক এআইআইবি যেহেতু অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে সেহেতু ধারনা করাই যায় যে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর দিকেই এর বাড়তি নজর থাকবে। প্রথম অনুমোদিত হওয়া ঋণগুলোর দিকে তাকালেও এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু আশঙ্কার জায়গা হলো, বাংলাদেশসহ এসব দেশের নাগরিক ও পরিবেশ সুরক্ষা-ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। কোনো কোনো দেশে সুরক্ষা বিষয়ক আইনি কাঠামো থাকলেও কদাচিৎ তার প্রয়োগ হয়। অপরদিকে পৃথিবীজুড়ে নাগরিক অধিকারের তোয়াক্কা না করা এবং দুষণের জন্য চীনা রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগে রয়েছে। পৃথিবীব্যাপী, বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে, চীনা কোম্পানিগুলো সড়ক, সেতু ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো অবকাঠামো নির্মাণ করছে যার ফলে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে। বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর মধ্যে আদিবাসীদের সংখ্যাই বেশি। 

সৌভাগ্যের ব্যাপার হলো সম্প্রতি পাশ হওয়া ‘এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক আইন ২০১৬’তে এআইআইবিকে দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) দেয়া হয়নি। এখন বাংলাদেশে শুধুমাত্র এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’রই দায়মুক্তি রয়েছে। দায়মুক্তি নেই বলেই সম্ভবত এআইআইবিও একটু নিরাপদ পথে হাঁটতে চাইছে। বাংলাদেশে বরাদ্দকৃত ঋণের প্রকল্পটি বিদ্যুৎ পরিসঞ্চালন-ব্যবস্থা সম্পর্কিত। ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত এক আইনানুসারে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে কোনো মামলা করা যাবে না। এআইআইবি সেই সুযোগটাই গ্রহণ করেছে। অন্যান্য দেশেও যে প্রকল্পগুলো এআইআইবি’র ঋণে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার সবগুলোই বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় উন্নয়ন ব্যাংক বা এডিবি’র সঙ্গে যৌথভাবে অর্থায়ন করা হচ্ছে যাতে সুরক্ষা নীতিমালার পাশাপাশি বৈধতার প্রশ্নেও এআইআইবি কোনো বিতর্কের মধ্যে না পড়ে। 

এআইআইবিতে বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সদস্যপদ গ্রহণ করেছে। ব্যাংকটিতে দক্ষিণ এশিয়ার সম্মিলিত ভোট ৬.৮২ শতাংশ এবং সেখানে বাংলাদেশের ভোট ০.৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে শুধুমাত্র চীনের ভোট ২৬.৬ শতাংশ এবং চীনসহ ভারত, রাশিয়া, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্স একত্রিত হয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেননা এই সাতটি দেশের ভোট ৫২ শতাংশ যা বাকি পঞ্চাশটি দেশের তুলনায় বেশি। অপরদিকে, কম্বোডিয়া, জর্জিয়া, লাওস, তাজিকিস্তান, মাল্টা বা মালদ্বীপের মতো ২০টি দেশ একত্রিত হয়েও নিজস্ব মতামত প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না। এ শঙ্কা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাংকটির ‘পরিবেশগত ও সামাজিক ফ্রেমওয়ার্ক’ বা ইএসএফ। এ নীতিমালা বাংলাদেশের পরিবেশ আইন ও নীতিমালা তো বটেই, এডিবি বা বিশ্বব্যাংকের সংশ্লিষ্ট নীতিমালার চেয়েও দুর্বল। 

সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি বাংলাদেশের আইনানুযায়ী ‘লাল’ শ্রেণিভূক্ত অর্থাৎ এ প্রকল্পের জন্য ‘পরিবেশগত প্রভাব নিরীক্ষা’ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রয়োজন। অপরদিকে ইএসএফ অনুসারে এ প্রকল্প ‘বি’ শ্রেণিভূক্ত অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে শুধুমাত্র ‘প্রাথমিক পরিবেশ সমীক্ষা’ই যথেষ্ঠ। ইএসএফ অনুসারে, প্রকল্পের ফলে পরিবেশগত মান বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে এআইআইবি কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট জাতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে। একই ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক বা এডিবি’র ‘সুরক্ষা নীতিমালা’ অনুসারে ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণকে ক্ষতিপূরণ দেয়া বা সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বন্ধ করে দেয়ার বিধান রয়েছে, যদিও তা সব সময় মানা হয় না। এছাড়া এআইআইবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় নাগরিক সমাজের সুযোগও নেই বললেই চলে। গতমাসে (জুন ২০১৬) অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় বাছাইকৃত নাগরিক প্রতিনিধি ব্যতিত প্রবেশাধিকার ছিলো ভয়াবহরকম সীমাবদ্ধ। 

পরিবেশ ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে চীনা কোম্পানির কুখ্যাতি, নাগরিক মতামত গ্রহণে চীনের কর্তৃপক্ষের অসহিষ্ণুতা এবং স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর দুর্বল আইনি কাঠামোর কারণে এআইআইবির প্রকল্পগুলো দুর্বল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য পীড়াদায়ক হয়ে উঠতে পারে। বিডিএসইউপি প্রকল্পের নথিতে কোনো বাস্তুচ্যুতির ঘটনা উল্লেখ করা হয়নি, যদিও ফুটপাথের হকার ও অস্থায়ী দোকানসহ প্রায় ২ হাজার মানুষ এ প্রকল্পের কারণে নিশ্চিতভাবে ক্ষতির শিকার হবে। 

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরি। সেজন্য আভ্যন্তরীণ উৎসের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকেও ঋণ গ্রহণ করতে হয়। সেদিক দিয়ে এআইআইবি বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক অর্থায়নের একটি নতুন উৎস হিশেবে আবির্ভূত হয়েছে। এটা একদিক দিয়ে মন্দের ভালো। উৎস ঋণ, পরিসেবা ঋণ ও দ্বিপাক্ষিক ঋণের চেয়ে বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদের হার যেমন কম তেমনি পরিশোধের মেয়াদ ও শর্তাবলীও কিছুটা শিথিল থাকে। ঋণের নতুন উৎস পাওয়া গেলে আভ্যন্তরীণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারের নেয়া ঋণের চাপও কিছুটা কমবে। এতে দেশের আভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের হার বাড়তে পারে যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে বিনিয়োগের তুলনায় ভোগখাতে ঋণের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। 

সাধারণত বহুপাক্ষিক ব্যাংক এডিবি বা বিশ্বব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়ন সময়ে ঋণের কোনো সুদ দিতে হয় না। কিন্তু এআইআইবি’র ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবানকালেও বার্ষিক শতকরা ১.১৫ হারে সার্ভিস চার্জ বা সুদ পরিশোধ করতে হবে। ফলে এ ঋণ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহার করে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবার আগেই ব্যাংকটিকে সুবিধা দিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে বনেদি ব্যাংকগুলোর ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৩০-৪০ বছর হলেও এআইআইবি’র ঋণ শোধ করতে হবে ২০ বছরের মধ্যে। এমনিতেই বৈদেশিক ঋণের কিস্তি ও সুদখাত জাতীয় বাজেটের একক সর্বোচ্চ খাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং নতুন এই ঋণ জাতীয় বাজেটের উপর নতুন বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। 

তাই উন্নয়নের জন্য এডিবিসহ সনাতনী বহুপাক্ষিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে দর কষাকষির জন্য এআইআইবি’র সুযোগটা যেমন ব্যবহার করা উচিৎ তেমনি নতুন এই ব্যাংক যেন বাংলাদেশের উপর ঋণ ও সুদের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে না দিতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকা দরকার। এ বিষয়ে সরকারের কৌশলও উন্মুক্ত করা প্রয়োজন।
 
হাসান মেহেদী, প্রধান নির্বাহী, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন)